হিন্দু ধর্মের লোকেরা হাতে লাল সুতো বাঁধে কেন? - Krishno Kotha
হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে, রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন অনেক লোকের কবজিতে এক গুছো লাল সুতো বাঁধা থাকে।সাধারণত হিন্দু ধর্মের লোকেরা বিপদতারিনী পূজোর লাল সুতো হাতে বেধে থাকে। তাদের বিশ্বাস এই অলৌকিক সুতো সমস্ত অমঙ্গল ও বিপদ আপদ থেকে তাদের নিরাপদ রাখবে। বিভিন্ন যজ্ঞ ও পূজো ছাড়াও পুরাণে লাল সুতো ব্যবহারের আরো কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়।
#প্রথমতঃ ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে সর্গ মর্ত্য ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন।দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্মগ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন।ভগবান বিষ্ণু বলিরাজক অমরত্ব দান করেন।আশীর্বাদ স্বরূপ তিনি তার হাতে বেধে দেন লাল সুতো।তাই ভগবানের আশীর্বাদ হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে।
প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......
#দ্বিতীয়তঃ একসময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হয়,অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্র খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন।স্বামীকে চিন্তিত দেখে স্ত্রী ইন্দ্রাণী তার জন্য প্রার্থনা শুরু করেন। ইন্দ্রাণী তার আধ্যাত্বিক শক্তি একত্রিত করে লাল সুতো দিয়ে একটা মালা তৈরি করেন। তারপর দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তার গলায় বেধে দেন যাতে অসুরেরা তাকে আঘাত করতে না পারে।এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে দেবতারা যুদ্ধে জয় লাভ করেন।তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রপূত লাল সুতো বাঁধার প্রচলন হয়।