সনাতন-শাস্ত্র_মতে-মায়ের -স্থান কোথায় সে সম্পর্কে - কৃষ্ণ কথা - আসুন বিস্তারিত জেনে রাখি

সনাতন-শাস্ত্র_মতে-মায়ের -স্থান কোথায় সে সম্পর্কে - কৃষ্ণ কথা - আসুন বিস্তারিত জেনে রাখি

সনাতন ধর্মে মায়ের স্থান অনেক উঁচু।চণ্ডীতে বলা হয়েছে...
“যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।"
আর সন্তান এর কাছে মায়ের স্থান কোথায় হবে সে বিষয়ে সনাতন শাস্ত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। সে বিষয়ে জানতে আমরা মনু সংহিতা্র একটি শ্লোক দেখব...
"উপাধ্যায়ান্ দশাচার্য্য আচার্য্যণাং শতং পিতা।
সহস্রন্ত্ত পিতৃন্মাতা গৌরবেণাতিরিচ্যতে।" (মনুসংহিতা, ২/১৪৫)
অনুবাদ:
দশজন উপাধ্যায় থেকে একজন আচার্যের গৌরব বেশি। একশত আচার্যের থেকে পিতার গৌরব বেশি এবং সহস্র পিতা অপেক্ষা মাতা সম্মানীয়া।
পিতা মাতার ঋণ সন্তান শত সহস্র জন্মেও শোধ করতে পারে না।
"যংমাতাপিতরৌ ক্লেশং সহতে সম্ভবে নৃণাম্।
ন তস্য নিষ্কৃতিঃ শক্যা কর্তুং বর্ষশতৈরপি।" (মনুসংহিতা, ২/২২৭)
অনুবাদ:
সন্তান জন্মে পিতামাতা যে ক্লেশ সহ্য করেন পুত্র শত শত বৎসরে, শত শত জন্মেও সেই ঋণ পরিশোধ করতে সমর্থ নয়। এ ছাড়া শাস্ত্রে আরও বলা হয়েছে মাতৃভক্তি দ্বারা এই ভূলোক জয় করা সম্ভব।
"ইমং লোকং মাতৃভক্ত্যা" (মনুসংহিতা, ২/২৩৩)
অনুবাদ:
মানুষ মাতৃভক্তি দ্বারা এই ভূলোক জয় করতে পারে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি রামায়ণে ভগবান শ্রীশ্রী রামচন্দ্র বলেছিলেন...
"জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী।"
এই সকল শাস্ত্র বাক্য দ্বারা আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম সনাতন ধর্মে মায়ের স্থান কোথায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য নিজের জন্মদাত্রী মাকে যথাযথ সন্মান প্রর্শন করা।।
প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
হরে কৃষ্ণ......