ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী
শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপরে যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমি তিথীতে(আমবস্যা)মথুরার কংশের কারা গারে জম্ম গ্রহন করেন,,
কৃষ্ণদেবনাগরী অন্তর্ভুক্তিস্বয়ং ভগবান আবাস স্হান বিন্দাবন ।। গোকুল , দ্বারকা ।।
অস্ত্রঃ সুদর্শন চক্র।।
সঙ্গীঃ রাধা; রুক্মিণী , সত্যভামা , জাম্ববতী।।
মাতাপিতা : দেবকী (মাতা)বসুদেব (পিতা),যশোদা (পালক মাতা) নন্দ (পালক পিতা)
সহোদর ভাই বোন : বলরাম, সুভদ্রা।।
বাহনঃ গরুড়।
ভাগবত পুরাণ , ভগবদ্গীতা, মহাভারত"উৎসব
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমি।।
তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম
অবতার রূপে খ্যাত।কখনো কখনো তাঁকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর('পরম সত্ত্বা') অভিধায় ভূষিত করা হয় এবং আমাদের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতার প্রবর্তক হিসাবে মান্য করা হয়।আমাদের বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রতিবছর ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী (জন্মাষ্টমী) তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়।। কৃষ্ণ শব্দের অর্থ কালো বা ঘন নীল। গৌড়ীয় বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র।।
অনেকেই কৃষ্ণ শব্দটিসর্বাকর্ষক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করেন । ভাগবত পুরাণে কৃষ্ণকে প্রায়শই বংশী-বাদনরত এক কিশোরের রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। আবার ভগবদ্গীতায়, তিনি এক পথপ্রদর্শক এবং সহায়ক তরুণ রাজপুত্র। সমগ্র মহাভারত কাব্যে, তিনি একজন কূটনীতিজ্ঞ হিসাবেপাণ্ডবপক্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন, কুরুক্ষেত্রের।।
যুদ্ধেঅর্জুনের রথের সারথিরূপে অবতীর্ণ হয়েছেন।। তাঁকে কল্পনা করা হয়ে থাকে বিভিন্ন রূপে: কখনো শিশুদেবতা, কখনো রঙ্গকৌতুকপ্রিয়, আবার কখনো বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর।। কৃষ্ণ-সংক্রান্ত উপাখ্যানগুলি মূলত লিখিত আছে মহাভারত, হরিবংশ, ভাগবত পুরাণ ও বিষ্ণু পুরাণে।।
খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতেই দক্ষিণ ভারতে কৃষ্ণভক্তি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েন তিঁনি।। ওড়িশায় জগন্নাথ, মহারাষ্ট্রে বিঠোবা, রাজস্থানেশ্রীনাথজি প্রভৃতি কৃষ্ণের রূপগুলিকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক ভক্তিসংস্কৃতিও বিকাশলাভ করে।
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনী প্রধানত তিনটি গ্রন্থে পাওয়া যায় :
১.ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাজনৈতিক জীবন যাকে আমরা ধর্মসংস্থাপন বলি, সেই ধর্মসংস্থাপনের কথা পূর্ণাঙ্গভাবে আছে মহাভারতে।
২. তাঁর যদুবংশের সকল কথা এবং ঘটনাবলী পাওয়া যায় মহাভারতের খিলকাণ্ড হরিবংশে।
৩. এবং তাঁর বাল্যকাল থেকে তিরোধান (অবতার লীলা সম্বরণ) পর্যন্ত সকল কথা আছে শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণে।
যেসকল গ্রন্থে বড় পরিসরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা পাওয়া যায় সেগুলি হলো- ব্রহ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, বায়ুপুরাণ, স্কন্দপুরাণ, কূর্মপুরাণ, বামনপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ সহ একাধিক পুরাণে। এমনকি বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকেও একাধিক স্থানে, কিছু কিছু স্থানে বিকৃতভাবেও শ্রীকৃষ্ণের কথা পাওয়া যায়।
তবে পুরাণগুলির মধ্যে পদ্ম এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ এই দুটি পুরাণের প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি পাওয়া না যাওয়ায় ; বর্তমানে পদ্ম এবং ব্রহ্মবৈবর্ত নামে যে গ্রন্থদুটি পাওয়া যায় সেটি অনেকটাই বিকৃত হয়ে যাওয়া এবং সুস্পষ্টভাবেই বোঝা যায় গ্রন্থদ্বয়ের অনেকটা অংশই যে প্রক্ষিপ্ত।
তবে ব্রহ্মপুরাণ এবং বিষ্ণুপুরাণ নামক এই দুটি পুরাণে বিস্তৃতভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা বর্ণিত আছে। বৈষ্ণব মতের অন্যতম ভিত্তি হলো শ্রীমদ্ভাগবত এবং বিষ্ণু পুরাণ নামক গ্রন্থদ্বয় । এর মধ্যে রূপে, রসে, মাধুর্যে আমাদের আঠারোটা পুরাণের মধ্যে অনন্য অসাধারণ হলো শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ।এ পুরাণটি জীবের সকল মালিন্য নাশ করে দেয়, তাই তাঁর আরেক নাম অমল পুরাণ।
দ্বাদশ স্কন্ধে বিভক্ত ৩৩৫ টি অধ্যায় সম্বলিত প্রায় ১৮০০০ শ্লোকের সমন্বয়ে এ পুরাণ। প্রধানত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনচরিত,অবতারতত্ব ও শ্রীকৃষ্ণরূপী পরমাত্মা বিষ্ণুর মাহাত্ম্য আলোচিত হলেও পুরাণের পঞ্চ লক্ষণসমন্বিত সকল প্রকার উপাদান এ গ্রন্থের অনন্য বৈশিষ্ট্য। অসাধারণ তার ধ্বনিমাধুর্য এবং পদলালিত্য। শ্রীমদ্ভাগবতের বিশেষ বার্তা হলো-
১. অচিন্ত্য ভগবান সর্বত্র আছেন।
২. তিনি জীবের কল্যাণে অবতাররূপে আসেন।
৩.তিনি তাঁর সন্তানদের কাছে ডাকেন,ভালবাসেন এবং রক্ষা করেন সকল বিপদ থেকে।
৪.তিনি হলেন ভাবনার মধ্যে ভাবনাতীত।
৫. তিনি পরম সুন্দরতম এবং শ্রবণমঙ্গলময় তাঁর বাক্য।
বৈদিক জ্ঞানের কথাই শ্রীভাগবতে বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
তাই শ্রীমদ্ভাগবত নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন
‘ নিগমকল্পতরোর্গলিতং ফলং’
অর্থাৎ বৈদিক কল্পতরুরূপ জ্ঞানবৃক্ষের পাকা টসটসে রসালো ফল বলে। শ্রীমদ্ভাগবতের শুরুতেই এই প্রাণমাতানো কথাগুলো বলা আছে :
“মহামুনি বেদব্যাস-কৃত এই শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থে অহংকার শুন্য সাধুপুরুষদের উপযোগী করে ফলাকাঙ্ক্ষারহিত পরমধর্মের কথা বলা হয়েছে। এ গ্রন্থের মাঝেই ত্রিতাপনাশক পরমসুখকর বস্তুর জ্ঞান নিবদ্ধ আছে। অন্য কোথাও আর এমনটি নেই। তাই সজ্জন ব্যক্তিরা শ্রীমদ্ভাগবতে সদা মনোনিবেশ করলে শ্রীভগবান তাদের নিকটে সহজেই ধরা দেন।ওগো পৃথিবীর রসিক- ভাবুক মানুষেরা, বেদ যেন এক কল্পতরু (এমন একটি বৃক্ষ, তার কাছে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়) ; তা থেকে উদ্ভূত এই ভাগবত-ফলশুকদেবের শ্রীমুখে পড়ে অমৃতরসে সিক্ত হয়ে ওঠে। তারপর সেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসা এই শ্রীমদ্ভাগবত রস তোমরা ব্রহ্মে লীন না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম আস্বাদন করে চলো।”
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
লেখার মাধ্যমে যদি কোন ভূল হয় সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন