শ্রী শ্রী দেবী সরস্বতী - Krishno Kotha - কৃষ্ণ কথা

জয় মা সরস্বতী জয় মা সরস্বতী জয় মা সরস্বতী




সরস্বতী পূজা 
শুভ চেতনা ও শুদ্ধ জ্ঞানের প্রার্থনা। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা হয়ে থাকে। তাই এই দিনটি ‘শ্রীপঞ্চমী’ নামেও বিশেষভাবে পরিচিত। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিদ্যা, সংগীত, শিল্পকলা ও জ্ঞানের প্রেরণাদাত্রী শক্তির প্রতিভূ হলেন দেবী সরস্বতী। তাই এই পূজা বিশেষত তাদের কাছেই বেশি মহিমান্বিত যারা জ্ঞানের সাধক, বিদ্যার্থী, শিল্প ও ললিতকলার অনুরাগী, সংগীতের নিয়ত সাধনাকারী। এক কথায় যা কিছু মানুষের মধ্যে মননশীলতার উৎকর্ষ সাধন করে, জ্ঞানের বিকাশ ঘটায়, অবিদ্যারূপ অন্ধকার দূর করে, মানুষের মাঝে সাত্ত্বিক চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটায় তারই অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন সরস্বতী। তাই দেবীপূজায় সবকিছুই হতে হয় সাত্ত্বিক প্রকৃতির।
 
মহাশ্বেতা সরস্বতী শুভ্রবর্ণ হল শুদ্ধ চেতনা ও পবিত্র জ্ঞানের উৎকর্ষতা স্বরূপ সাত্ত্বিকতার প্রতীক। পদ্মপুরাণের বর্ণনানুসারে দেবী শাশ্বত ও নিত্যস্বরূপ, তার গায়ের বর্ণ চাঁদের আলোর ন্যায় শুভ্র, তার বসন শুভ্র, তিনি শ্বেত পুষ্পে শোভিতা, শ্বেতচন্দন চর্চিতা, শ্বেত রুদ্রাক্ষ মালা ও বীণাধারিণী, শ্বেত অলঙ্কারে ভূষিতা, শ্বেত পদ্মাসনে উপবিষ্টা, শ্বেত রাজহংস তার বাহন। সাত্ত্বিক এই দেবীর আরাধনায় ভক্তের হৃদয়ও তাই শুভ্রতা-সাত্ত্বিকতায় পবিত্র ও পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
 
দেবীর ধ্যানমন্ত্রে তাকে শ্বেতবর্ণা, শ্বেতপদ্মে আসীনা, মুক্তার হারে শোভিতা, কমলনয়না ও বীণাপুস্তকধারিণী এক দিব্য নারীমূর্তিরূপে কল্পনা করা হয়েছে। এই মূর্তিকল্প থেকেই দেবী সরস্বতীর প্রচলিত মূর্তিরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মূর্তিকেই ঈশ্বরজ্ঞানে কখনও পূজা করা হয় না। মূর্তির কাছে কোনো প্রার্থনাও করা হয় না। মূর্তি ঈশ্বরোপাসনার অবলম্বন মাত্র। নির্দিষ্ট তিথিতে এই জড় মূর্তিতে ঈশ্বরের শক্তিরূপ দেবতাকে স্মরণ, মনন, ধ্যানপূর্বক আহ্বান করা হয়। তাকে অর্ঘ্য নিবেদন করে পূজা করা হয়, তার কাছে প্রার্থনা করা হয়। 

পুষ্পাঞ্জলি শেষে নিরঞ্জনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেবতাকে বিদায় জানানো হয়। অতঃপর মূর্তিটি প্রাণহীন মৃতদেহের মতো শুধু মূর্তিই থাকে। তাই মূর্তিটিকে শ্রদ্ধাপূর্বক জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। মূর্তিকে ভগবান মনে করলে নিশ্চয়ই মূর্তিকে বিসর্জন দেওয়া হতো না। দেবতার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে পবিত্র তিথিতে মূর্তিতে ঈশ্বরকে আহ্বানপূর্বক প্রণাম ও প্রার্থনা করেন, কিন্তু এই প্রণাম ও প্রার্থনা মূর্তির উদ্দেশ্যে নয় বরং মূর্তির মাধ্যমে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যেই করা হয় এবং ঈশ্বর সেটাই গ্রহণ করেন।
গীতায় বলা হয়েছে ‘ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে’ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে এই জগতে জ্ঞানের মতো পবিত্রকারী আর কিছুই নেই। জ্ঞানী ভক্তই ভগবানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তাই জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।



প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......

সরস্বতীর বাহন রাজহংস হল কেন
জ্ঞানেরঅধিষ্ঠাত্রী দেবী মা হলেনসরস্বতী। তার বাহন হল শ্বেতরাজহংস।
হাঁস অসারকে ফেলে সারগ্রহণ করে।
দুধ ও জল মিশ্রণকরে দিলে হাঁস জল ফেলে শুধু দুধটুকু গ্রহণ করে নেয়, জলটুকু পাত্রে পড়ে থাকে।
হাঁসকিংবা কাঁদায় মিশ্রিত স্থানথেকেও তার খাদ্যখুঁজে নিতে পারে।
মায়েরসঙ্গে পূজিত হয়ে শিক্ষা দিচ্ছে-সবাই যেন সবার অসার বা ভেজাল/অকল্যাণকর পরিহার করে সারবা ভালো কিছু অর্থাৎ নিত্যপরমাত্মাকে গ্রহণ করেনএবং পারমার্থিক জ্ঞান অর্জনকরে সুন্দর পথে চলতে পারি।
 
জয় মা সরস্বতী।
পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র

=================
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
নমঃভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ বেদাঙ্গ বেদান্ত বিদ্যা স্থানেভ্য এব চ।।
এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বতৈ নমঃ।।

প্রনাম মন্ত্র
=======
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
🌹জয় মা সরস্বতী 🌹

আমরা সরস্বতী পুজোর আগে কুল (বরই) খাইনা কেন?