শ্লোক ও শ্লোকার্থ krishno Kotha
শ্লোক ও শ্লোকার্থ krishno Kotha
শ্লোক ৬০
ব্ৰহ্ম, আত্মা, ভগবান্কৃষ্ণের বিহার ।
এ অর্থ না জানি' মুখ অর্থ করে আর ॥ ৬০ ॥
শ্লোকার্থ
ব্রহ্ম, পরমাত্মা, ভগবান—এই সবই যে শ্রীকৃষ্ণের প্রকাশ, সেই সম্বন্ধে যথাযথভাবে অবগত না হয়ে পণ্ডিতাভিমানী মুঢ় ব্যক্তিরা নানা রকম জল্পনা কল্পনা করে।
শ্লোক ৬১
অবতারী নারায়ণ, কৃষ্ণ অবতার।
তেঁহ চতুর্ভুজ, ইহ মনুষ্য-আকার ॥ ৬১ ॥
শ্লোকার্থ
তাদের ভ্রান্ত বিচার অনুসারে, যেহেতু নারায়ণ চতুর্ভুজ সম্পন্ন এবং শ্রীকৃষ্ণ দ্বিভুজসম্পন্ন সাধারণ মানুষের মতাে, তাই নারায়ণ হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান এবং শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন তার অবতার।
তাৎপর্য
তথাকথিত কোন কোন পণ্ডিতেরা বলে যে, যেহেতু নারায়ণের চারটি হাত রয়েছে এবং শ্রীকৃষ্ণের দুটি হাত রয়েছে, তাই নারায়ণ হচ্ছেন আদিপুরুষ ভগবান, যার থেকে কৃষ্ণ অবতাররূপে প্রকাশিত হয়েছেন। এই ধরনের নির্বোধ পণ্ডিতেরা পরমতত্ত্বের বিবিধ প্রকাশ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
শ্লোক ৬২
এইমতে নানারূপ করে পূর্বপক্ষ।
তাহারে নির্জিতে ভাগবত-পদ্য দক্ষ ॥ ৬২ ॥
শ্লোকার্ধ
এভাবেই বিরুদ্ধপক্ষ নানা রকম তর্কের উত্থাপন করে, কিন্তু শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের সেই সমস্ত তর্ককে খণ্ডন করে।
শ্লোক ৬৩
বদন্তি তত্তত্ত্ববিদস্তত্বং যজজ্ঞানময়।
ব্রহ্মেতি পরমায়েতি ভগবানিতি শব্দ্যতে ॥ ৬৩ ৷
অনুবাদ
“যা অদ্বয়জ্ঞান, অর্থাৎ এক ও অদ্বিতীয় বাস্তব বস্তু, তত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিত্যে তাকেই তত্ত্ব বলেন। সেই তত্ত্ববস্তু ব্ৰহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান—এই তিন নামে অভিহিত হন।"
শ্লোক ৬৪
শুন ভাই এই শ্লোক করহ বিচার।
এক মুখ্যতত্ত্ব, তিন তাহার প্রচার ॥ ৬৪ ॥
শ্লোকার্থ
হে ভাইসকল, দয়া করে তােমরা এই শ্লোকের ব্যাখ্যা শ্রবণ করে তার অর্থ বিচার কর—একই মুখ্যতত্ত্ব তিনটি বিভিন্ন রূপে জ্ঞাত হন।
শ্লোক ৬৫
অদ্বয়জ্ঞান তত্ত্বস্তু কৃষ্ণের স্বরূপ।
ব্রহ্ম, আত্মা, ভগবান্—তিন তার রূপ ॥ ৬৫।
শ্লোকার্থ
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এক ও অদ্বিতীয় পরমতত্ত্ব। তিনি নিজেকে ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান— এই তিনটি রূপে প্রকাশিত করেন।
শ্লোক ৬০
ব্ৰহ্ম, আত্মা, ভগবান্কৃষ্ণের বিহার ।
এ অর্থ না জানি' মুখ অর্থ করে আর ॥ ৬০ ॥
শ্লোকার্থ
ব্রহ্ম, পরমাত্মা, ভগবান—এই সবই যে শ্রীকৃষ্ণের প্রকাশ, সেই সম্বন্ধে যথাযথভাবে অবগত না হয়ে পণ্ডিতাভিমানী মুঢ় ব্যক্তিরা নানা রকম জল্পনা কল্পনা করে।
শ্লোক ৬১
অবতারী নারায়ণ, কৃষ্ণ অবতার।
তেঁহ চতুর্ভুজ, ইহ মনুষ্য-আকার ॥ ৬১ ॥
শ্লোকার্থ
তাদের ভ্রান্ত বিচার অনুসারে, যেহেতু নারায়ণ চতুর্ভুজ সম্পন্ন এবং শ্রীকৃষ্ণ দ্বিভুজসম্পন্ন সাধারণ মানুষের মতাে, তাই নারায়ণ হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান এবং শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন তার অবতার।
তাৎপর্য
তথাকথিত কোন কোন পণ্ডিতেরা বলে যে, যেহেতু নারায়ণের চারটি হাত রয়েছে এবং শ্রীকৃষ্ণের দুটি হাত রয়েছে, তাই নারায়ণ হচ্ছেন আদিপুরুষ ভগবান, যার থেকে কৃষ্ণ অবতাররূপে প্রকাশিত হয়েছেন। এই ধরনের নির্বোধ পণ্ডিতেরা পরমতত্ত্বের বিবিধ প্রকাশ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ হরে কৃষ্ণ জয় রাধে গোবিন্দ
শ্লোক ৬২
এইমতে নানারূপ করে পূর্বপক্ষ।
তাহারে নির্জিতে ভাগবত-পদ্য দক্ষ ॥ ৬২ ॥
শ্লোকার্ধ
এভাবেই বিরুদ্ধপক্ষ নানা রকম তর্কের উত্থাপন করে, কিন্তু শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের সেই সমস্ত তর্ককে খণ্ডন করে।
শ্লোক ৬৩
বদন্তি তত্তত্ত্ববিদস্তত্বং যজজ্ঞানময়।
ব্রহ্মেতি পরমায়েতি ভগবানিতি শব্দ্যতে ॥ ৬৩ ৷
অনুবাদ
“যা অদ্বয়জ্ঞান, অর্থাৎ এক ও অদ্বিতীয় বাস্তব বস্তু, তত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিত্যে তাকেই তত্ত্ব বলেন। সেই তত্ত্ববস্তু ব্ৰহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান—এই তিন নামে অভিহিত হন।"
শ্লোক ৬৪
শুন ভাই এই শ্লোক করহ বিচার।
এক মুখ্যতত্ত্ব, তিন তাহার প্রচার ॥ ৬৪ ॥
শ্লোকার্থ
হে ভাইসকল, দয়া করে তােমরা এই শ্লোকের ব্যাখ্যা শ্রবণ করে তার অর্থ বিচার কর—একই মুখ্যতত্ত্ব তিনটি বিভিন্ন রূপে জ্ঞাত হন।
শ্লোক ৬৫
অদ্বয়জ্ঞান তত্ত্বস্তু কৃষ্ণের স্বরূপ।
ব্রহ্ম, আত্মা, ভগবান্—তিন তার রূপ ॥ ৬৫।
শ্লোকার্থ
স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এক ও অদ্বিতীয় পরমতত্ত্ব। তিনি নিজেকে ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান— এই তিনটি রূপে প্রকাশিত করেন।