কলিযুগে ধর্ম নিয়ে এত রেষারেষির কারণ ও সমাধান সম্পর্কে

কলিযুগে ধর্ম নিয়ে এত রেষারেষির কারণ ও সমাধান সম্পর্কে
আমরা যে যুগে বাস করছি তা হল কলিযুগ। এযুগ বিরোধ ও কলহের যুগ, মানুষের হৃদয় নানা কলুষে পূর্ণ এবং ইহা ভগবানকে ভুলে যাওয়ার যুগ। কিন্তু ভগবান এত শক্তিমান যে তার দিব্য নাম কীর্তনে সমস্ত কলুষমুক্ত হয়ে পবিত্র হওয়া যায়। মঠ ও মন্দিরে অনেক ভক্তকে পাবেন, যাদের কিছু বছর আগের অভ্যাস হয়তো আপনার থেকেও খারাপ ছিল। কিন্তু মহামন্ত্র কীর্তন, কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ ও কৃষ্ণকথা শ্রবণের দ্বারা ইন্দ্রিয় বশে করে আজ ভক্তে তারা পরিণত হয়েছে। 

আপনিও পারেন পরিবর্তন হতে, কারন পরমাত্মা সকলের হৃদয়ে বর্তমান। কিন্তু সদিচ্ছা থাকতে হবে। ধার্মিক জীবনযাপনের উপর জোর দিতে হবে। কারন ধর্মকে বর্জন করলে একটা কুকুর আর মানুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। একটি কুকুরকে ভগবানের সাথে তার সম্পর্কের কথা বোঝানো যায় না, মানুষকে যায়। ভগবৎ চেতনা ব্যতীত মানুষ আর পশু একই। 

পশুরা আহার, নিদ্রা, আত্মরক্ষা, মৈথুন এছাড়া কিছু জানে না। আমরাও তো এতেই ব্যস্ত। ভগবান এই দেহ দিয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য। মানব সমাজ যদি কুকুর বেড়ালের স্তরে থাকে তবে আমরা কিভাবে শান্তিপূর্ণ সমাজের আশা করতে পারি। গোটা দশেক কুকুরকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখলে, নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু করে দেবে। আমরাও তাই করছি একে অপরের প্রতি। আমরা যদি পশুর মত মনোবৃত্তি সম্পন্ন হই, কোনদিনই শান্তি আশা করতে পারি না। তার জন্য সকলকে ধার্মিক হওয়া প্রয়োজন।

#কিভাবে_ধার্মিক_হব ??

এটা গুরুতর সমস্যা। ধর্মের প্রকৃত অর্থ বর্তমানে কেউ জানে না। ধর্ম হচ্ছে ভগবানের আইন। যা জানতে শাস্ত্র পড়তে হবে। সৎ নাগরিক যেমন দেশের আইন সঠিকভাবে মানে, ভগবানের আইন যে মানবে সেই ধার্মিক তাতে সে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান যাই হোক। ভগবান এক ধর্মও এক। আমরা আলাদা করছি সঠিক না জেনে।

অনেকে এটাই জানে না ভগবান কে ?
প্রধানমন্ত্রী কি ৫ জন হয় যে ভগবান ৫ জন হবে?
কালি, শিব, দূর্গা, গণেশ, মনসা যে যাকে পারছে ভগবান বানিয়ে দিচ্ছে। তাইতো নিজেদের মধ্যেই রেষারেষি।

আগে জানুন আপনার ধর্ম কি ?
সেটা হল সনাতন ধর্ম।

এবার জানুন এই ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কি ?
তা হল শ্রীমদ্ভগবতগীতা।

এবার দেখুন সেই গ্রন্থে কাকে ভগবান বলা হয়েছে?
রেষারেষির কি প্রয়োজন?
ধর্ম শুধু বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। কারন বিশ্বাস অন্ধবিশ্বাসও হতে পারে। তার জন্য সঠিক ধর্মগ্রন্থে হাত দিন। তবে আজ পর্যন্ত অনেকে গীতা স্পর্শ করেই দেখেনি।

দুর্ভাগ্য তাদের ! যে দেবতার উপাসনা আপনি করছেন তারাও লোভ, কাম, হিংসায় পূর্ণ। আপনিও পুণ্য সঞ্চয় করে স্বর্গলোকে গিয়ে কোন জন্মে দেবতা হতে পারেন। এটা বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু মুক্তি অনেক বড় ব্যাপার। দেবতারাও এই মানবদেহ লাভের কামনা করে ভগবৎ ভজনের জন্য।

সুতরাং দেবতাকে ছেড়ে এই জগতেই যিনি নিজ ইন্দ্রিয়কে বশে রেখে ভক্তিপথে রয়েছেন এমন সদগুরুর সান্নিধ্য লাভ অনেক শ্রেয়। এক ফাঁসিপ্রাপ্ত আসামীকে যেমন একমাত্র রাষ্ট্রপতি রক্ষা করতে পারেন,
তেমনই মুক্তি কেবলমাত্র শ্রীকৃষ্ণ-ই দিতে পারেন, দেবতারা নয়।।


প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......