সিঁন্দুর সম্পর্কে তথ্য

সিঁন্দুর সম্পর্কে তথ্য

::::বিবাহিত হিন্দু নারী ও সিঁন্দুর::::


♦সিঁন্দুরঃ-

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
🌷সিঁন্দুর হল একটি কমলা-লালাবর্ণের মিশ্র পদার্থ যা বিবাহিত হিন্দু নারীরা তাদের সিঁথিতে পড়ে থাকে। একজন বিবাহিত হিন্দু নারীর দুই প্রতিক হল হাতের শাঁখা ও সিঁথির সিঁন্দুর, তাই একজন হিন্দু নারীর কাছে সিঁন্দুর গুরুত্ব অন্য জিনিসের তুলনাই অনেক বেশি ।।

🌷বর্তমানে ব্যাবহৃত সিঁন্দুর মূলত ২ ধরণের হয়, একটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর ও আরেকটি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর টি Bixa sp.গাছের ফল কে গুঁড়ো করে তার সাথে কিছু উদ্ভিদজাত পদার্থ ও হলুদ, এল্যাম(Alum) লাইম(Calcium oxide) মিশিয়ে তৈরী করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে তৈরী সিঁন্দুরে সিলিকন পাউডার ও বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থের সাথে সালফারের আকরিক Mercury Sulfide এর পরিশুদ্ধ পাউডার ও সীসাজাত যৌগ মিশিয়ে তৈরী করা হয় ।।

🌷পারদ খুব তীব্র বিষাক্ত পদার্থ হওয়ার জন্য বর্তমানে এর ব্যাবহার মাইক্রোগ্রাম পরিমানই নেওয়া হয়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুরই এখন বহুল ব্যাবহৃত ।।

♦সিঁন্দুরের ঐতিহ্যঃ-

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
🌷বিবাহিত হিন্দু নারীদের সিঁথিতে সিঁন্দুর পড়া আনুমানিক ৫,০০০ বছর প্রাচীন হিন্দু ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি। প্রাচীন রামায়ণে মাতা সীতা এবং মহাভারতে দ্রৌপদী সিঁথিতে সিঁন্দুর ব্যাবহারের স্পস্ট প্রমাণ আছে। রামায়ণে শ্রীরাম যখন মাতা সীতা কে বিবাহ করেন তখন তিনি মাতা সীতার সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করেছিলেন ।।

🌷একই প্রমাণ আছে হরিবংশ পুরাণে যখন শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিনীদেবী কে বিবাহ করেন তখন তিনিও রুক্মিনীদেবী সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করেছিলেন, এই পরম্পরাই এখনও অবদি হিন্দু বিবাহতে চলে আসছে ।।

🌷যেখানে স্বামী তার স্ত্রী কে সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করিয়ে স্ত্রী হিসাবে তাকে গ্রহণ করে। এছাড়া বেশকিছু ঐতিহাসিক এটা স্বিকার করে থাকেন প্রাচীন হরপ্পা সভ্যতাতেও নারীরা সিঁন্দুর ব্যাবহার করতো ।।

🌷সিঁন্দুরের গুরুত্বের সবচেয়ে ভালো ব্যাখা আছে “ললিতা সহস্রনামে”। এটা ব্রহ্মান্ডপুরাণের অংশ বিশেষ, দেবী ললিতা যিনি মা দূর্গা বা মা শক্তির অপর নাম তার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে ললিতাদেবীর সিঁথির সিঁন্দুর কে শ্রীলক্ষীর প্রতিক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে,


প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......