নীতিশিক্ষামূলক গল্প - Krishno Kotha

নীতিশিক্ষামূলক গল্প - Krishno Kotha

উপনিষদের কাহিনী।

আজ আমাদের সকল সদস্য, বন্ধু-বান্ধব সহ সমস্ত শুভানুধ্যায়ীদের জন্য একটা সুন্দর শিক্ষনীয় আখ্যান অতি সংক্ষেপে তুলে ধরছি। আশাকরি সবাই পড়বে এবং এর থেকে শিক্ষনীয় অনেক বিষয় খুঁজে পাবে।এক অল্প-বুদ্ধি-সম্পন্ন যুবক, একজন মুনির নিকট গিয়ে ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে চাইল। মুনি জিজ্ঞেস করলেন, ঈশ্বরকে তোমার কি দরকার? যদি বিশেষ কোনো দরকার না থাকে,তবে ঈশ্বর দেখা দেন না। 

যুবকটি উত্তরে জানাল, তার দেখার ভীষণ ইচ্ছে। দেখা চাই-ই চাই। মুনি বললেন, 'চাইলেই তো আর দেখা যায় না। দেখার জন্য ব্যাকুল হতে হয়, তবেই দেখা যায়।'যুবক বলল, আমি অনেক ব্যাকুল হয়েও কোনো ইঙ্গিত পাইনি। তিনি কোথায় থাকেন? মুনি উত্তর দিলেন,'তা কেন, তিনি তো সর্বভূতে বিরাজমান।

তোমার দেখার মত চোখ এখনও জেগে ওঠেনি, তাই দেখতে পাচ্ছো না।'নাছোড়বান্দা যুবক কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। বরং মুনিকে একটু আঘাত করেই কথা বলল। এবং বলল, 'আপনি যে বলেছিলেন দেখাতে পারবেন? তবে দেখিয়ে দিন না? তবেই না বুঝব আপনি দেখেছেন এবং আপনার কথার মূল্য আছে।

মুনি আধ্যাত্মিক শক্তি-সম্পন্ন, তিনি জানেন এই যুবকটির অন্তরে ঈশ্বর-ভাব রয়েছে এবং সে ঐ বিষয়ে অকপট। তাই তিনি যুবককে শান্ত করতে বললেন, 'আহা ধৈর্য ধরো, সবুরে মেওয়া ফলে।'এই যুবকের ধৈর্যের বাঁধন যেন ততই টুটে যাচ্ছে। আরও বেশী অস্থির হয়ে গেল।

প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......

 অবশেষে মুনি তাকে, একটি দিন ধার্য করে দিলেন এবং বললেন ঐদিন দেখা মিলবেই।যথারীতি ঠিক সময়ে সেদিন যুবক পৌঁছাল। তাকে দেখেই মুনি বললেন, 'আমি স্থির করলাম, তোমার জন্য ঈশ্বরদর্শন, স্থলের চেয়ে জলেই সহজ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা পাবে।' এদিকে যুবকের কি আনন্দ! কি আনন্দ! আজ ঈশ্বরদর্শন হবে।

মুনি যুবককে বললেন জলে নামতে, তার সাথে তিনি থাকবেন। গলা জলে নেমে যুবক অপেক্ষা করছে। মুনিও জলে নামলেন। যুবককে বললেন, 'ঐ জলে ডুব দাও। আর দেরী নেই। সময় ঘনিয়ে এসেছে।' যুবক ডুব দিল। তখনই মুনি, জলের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায়, যুবকের ঘাড়ে ধরে থাকলেন। কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই যুবকের প্রাণ যায় যায়। সে উঠবে, কিন্তু মুনি ধরেই আছেন। অন্তিম অবস্থায় তার ঘাড় থেকে হাত সরালেন। 

প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......

জিজ্ঞেস করলেন, 'কি হে কেমন দেখলে?' যুবক উত্তর দিল, 'কি আর দেখব, এদিকে আমার প্রাণ যায় যায়! আমি কিছুই দেখিনি।' মুনি তখন স্নেহের সুরে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন, 'দেখো হে বৎস, যখন হ্নদয় পূর্ণ পবিত্র হবে, সাধনায় মগ্ন হবে, আর ঈশ্বরের জন্য তোমার প্রাণ যায় যায় অবস্থা হবে, যেমনটি জলের ভিতরে থেকে বাঁচার জন্য তোমার হয়েছিল, ঠিক তখনই বুঝবে, ঈশ্বরদর্শনের সময় এসেছে এবং সকল যুক্তি-তর্ক এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।

'আপাতত আখ্যানটি এখানেই শেষ। আমদের কাজ এবং দ্বায়িত্ব হলো এই গল্পের থেকে মুল তাৎপর্য উদ্ধার করতঃ, তা আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করা। আর সদা পরমেশ্বর ভগবানের শ্রীচরণ শ্মরণে রাখা। নিশ্চয়ই পরমকরুনাময় সচ্চিদানন্দময় গোলোকপতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের মঙ্গল ও কল্যাণ করবেন।।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে""হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে''

একদা একটি মন্দিরে একজন ধর্মপ্রচারকবহুসংখ্যক দর্শনার্থীর মাঝে পাঠদানকরছিলেন। 

একসময় তিনি সকলেরউদ্দেশে বললেন, 'ওহে বন্ধুগণ ! আমি তোমাদের সত্যি বলছি,যদি তোমরা হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপের অভাবনীয় শক্তি সম্বন্ধে জানতে,তাহলে তোমরা তোমাদের দৈনন্দিন প্রতিটি কাজের পূর্বে ''হরে কৃষ্ণ'' বলতে। যারাই কোনো কাজের শুরুতে কলির সর্বকলুষ নাশকারী হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করে তারাই চমত্কৃত হবে।

এমনকি শুদ্ধভাবে হরিনাম জপকারী জলের উপরেও হাটতে সক্ষম হবেন। একজন দরিদ্র ব্রাহ্মন ধর্মযাজকের প্রবচন খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন, তিনি ধর্মযাজকের খুবকাছে বসেছিলেন। তো সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণকে বহু কাঠখর পুড়িয়ে মন্দিরে আসতে হত কারণ পথিমধ্যে তাকে একটি নদী পার হতে হত,তবুও তিনি নিয়মিত মন্দিরে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তার ভক্তদের দর্শনকরতে যেতেন। সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন প্রায়ই অন্যের অনুগ্রহের অপেক্ষায় নদীর পারে বসে থাকতে হত কারণ তারকোনো নিজষ নৌকো ছিলনা।

নদীর পথসীমা ছিল অত্যন্ত দীর্ঘ। তারপরও,যখনি ধর্মযাজকের মুখে তিনি শুনলেন,'হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করলে জলের উপর দিয়েও হাটতে পারবেন' তখন তিনি ভাবলেন তার এই দীর্ঘ নদীপথ পারি দেয়া থেকে মুক্তির উপায় তিনি পেলেন। এরপরের দিন যখন সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন নদীর পারে পৌছলেন, তিনি ''হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র'' জপ করতে করতে নির্ভীকভাবে নদীর দিকে অগ্রসর হলেন।

যখনি তিনি নদীর জলে পা রাখলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অশেষ কৃপায় তিনি নদীর জলের উপর দিয়ে হাটতে সক্ষম হলেন।দেখতে দেখতে এটা সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের একটি নিয়মিত কার্যে পরিনত হলো। তো একদিন যখন সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন জলের উপর দিয়ে হেটে নদী পার হচ্ছিলেন, তিনি বুঝতে পারলেন যেই ধর্মযাজক তাকে এই 'হরেকৃষ্ণ' মহামন্ত্র জপ করার উপদেশ দিলেন, তিনি তার প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি।

বৈষ্ণব প্রিতার্থে তখন সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন সেই ধর্মযাজককে তার গৃহে শ্রীকৃষ্ণের মহাপ্রসাদ পাওয়ার উদ্দেশে নিমন্ত্রণ করলেন। তো সেই ধর্মযাজক দরিদ্র ব্রাহ্মণের নিমন্ত্রণে সম্মতি জানানলেন এবং তাদের দুইজনই সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলেন। স্বাভাবিকভাবেই নদীর কাছে পৌছে সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন''হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র'' জপ করতে করতে নদীর জলে হেটে বাড়ি রওনা হলেন।

কিন্তু যখনি তিনি পিছনে ফিরা তাকালেন তিনি দেখতে পেলেন ধর্মযাজক বহুদূর থেকে নদীর টায়রা দাঁড়িয়ে অত্যন্ত বিস্ময়করচিত্তে তাকে লক্ষ্য করছিলেন। তখন সেই দরিদ্র ব্রাহ্মন ধর্মযাজক কে বললেন, শুধুমাত্র ''হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র''জপ করুন যেমনটি আপনি বলেছিলেন। তখন সেই ধর্মযাজক বললেন, আমার প্রিয় বন্ধু, 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আমার ততটা বিশ্বাস নেই যতটা তোমার আছে।'সারমর্ম: হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস অর্জন করতে আমাদের বিদ্যার সাগর নয়, প্রয়োজন শুধুমাত্র বিনম্রতা দৈন্য এবং ভক্তি।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে""হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে''


 ।।সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস।।

চলো তুমিও ফুলের মধু খাবে।অনেক বোঝানোর পর ভ্রমর অনেক কষ্টে গোবর পোকাকে রাজি করিয়ে গোবর পোকাকে নিয়ে গেল।দুই বন্ধু মিলে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে মধু খেতে শুরু করে দিল।মধু পেয়ে গোবর পোকা ভাবছে, বাঃ এতো খুব সুন্দর স্বাদ তাই আরো বেশি বেশি করে খেতে শুরু করে দিল। মধু খেয়ে একসময় তার নেশা হয়ে গেল। তখন গোবর পোকাটি নরম ফুলের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল। ক্রমশ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। 

সন্ধ্যার সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই অনেক ফুলের পাপড়ি মুদে যায় বা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।গোবর পোকাটি যে ফুলটিতে ঘুমিয়েছিল সেই ফুলটিও মুদে গেল আর ভ্রমর তার নিজের বাসায় চলে গেল। পরদিন সকালে এক ভক্ত সেই ফুলটি তুলে নিয়ে গেল ভগবানের পুজোর উদ্দেশ্যে। গোবর পোকা কিন্তু তখনও ফুলের মধ্যেই। এদিকে ভক্ত সেই ফুলটি চন্দন চর্চিত করে ভগবানের শ্রীচরণে অর্পন করলেন। কিছু সময় পর যখন ফুলটি যখন প্রস্ফুটিত হল তখন গোবর পোকা ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে আমি কোথায় এলাম, আমি তো ভগবানের চরণে। 

আমি একটা গোবর পোকা যার স্থান ছিল পচা দুর্গন্ধ গোবরের মধ্যে, সেই আমি কিনা আজ জগৎপতির চরণে। মনে মনে ভাবতে লাগল, আজ যদি ভ্রমরের সঙ্গ না ধরতাম তাহলে হয়তো কোনোদিন ভগবানের শ্রীচরণ স্পর্শ তো দুরের কথা, আমি কোনোদিন তার দর্শনও পেতাম না।....... তাই মহাজনেরা বলছেন.....

" সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সর্বশাস্ত্রে কয় লব মাত্র সাধু সঙ্গে সর্ব্ব সিদ্ধি হয় "

এখানে দেখুন সাধু সঙ্গের জন্যই কিন্তু আজ গোবর পোকার সিদ্ধি লাভ ঘটল। তাই অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করুন। অসৎ সঙ্গ শুধু নীচু পথেই নামায় না, অসৎ সঙ্গের ফলে আপনার আমার জীবনে একদিন যে ভয়ঙ্কর বিপদ নেমে আসবে তা একদম নিশ্চিত। কারণ এদের গতি সবসময় নীচের দিকে,এরা কোনোভাবেই উপরের দিকে উঠতে সাহয্য করেনা। 

নীচে নামানোর প্রাণপন চেষ্টাই চালিয়ে যায়। সুন্দর ফুল তো অনেক ফোটে কিন্তু সবাই ভগবানের চরণে নিবেদিত হয় কি? কেউ মৃতদেহের ওপর, কেউ আবার গাছেই শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পরে।নিজেকে কোন পথে পরিচালিত করবেন সেই রুচিটা সম্পুর্ণ নিজের।

হরে কৃষ্ণ

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে""হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে''

একদিন নারদ মুনি শ্রীহরিকে জিজ্ঞেস করলেন—

প্রভু, হরি নামের কি গুণ? ভগবান শ্রীহরি বললেন,চল এর উত্তর পৃথিবীতেই পাবে ৷ তখন নারদ মুনি ও ভগবান শ্রীহরি পৃথিবীতে আসলেন ৷ একটি গোবরের পোকাকে লক্ষ্য করে শ্রীহরি বললেন এই পোকাকে জিজ্ঞেস কর৷ তখন নারদ পোকাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন—হরি নামের কি গুণ?পোকাটি তৎক্ষণাৎ মারা গেল ৷ এরপর এক হরিণ ছানাকে জিজ্ঞেস করলেন সেও সাথে সাথে মারা গেল৷

প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ......

তারপর এক গাভীর সদ্য জন্ম নেয়া বাছুরকে জিজ্ঞেস করলেন সেও মারা গেল ৷ অতঃপর তারা এক রাজবাড়িতে এলেন ৷ তখনি এক রাজপুএের জন্ম হল ৷শ্রীহরি বললেন, এবার একে জিজ্ঞেস কর উওর পাবে ৷ নারদ বলল, প্রভু রাজার পুত্র উনি,যদি এও মারা যায় তাহলে যে দন্ড ভোগ করতে হবে৷ শ্রীহরি অভয় দিয়ে বললেন এবার কিছুই হবেনা ৷

তখন নারদ রাজপুত্রকে জিজ্ঞেস করলেন,আচ্ছা হরি নামের কি গুণ? তখন শ্রীহরির কৃপায় শিশু উওর দিল,"আমি গোবরের পোকা থেকে হরিণ,আবার হরিণ থেকে গরু এবং গরু থেকে এই দুর্লভ মানব জীবন পেয়েছি আপনার মুখের হরিনাম শ্রবণের ফলে। আপনাকে শত কোটি প্রনাম"একবার সবাই মনখুলে দুহাত তুলে বলুন,

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"।।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে""হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে''