প্রশ্ন ও উত্তর - Krishno Kotha - কৃষ্ণ কথা

প্রশ্নঃকেন আমরা তুলসীর মালা গ্রহণ করবো?



কেন অামরা তুলসীর মালা গ্রহণ করবো-www.krishnokotha.blogspot.com


উত্তরঃ
সনাতন ধর্মে তুলসী মহারাণী দেবী হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়জন, নমো নমো তুলসী কৃষ্ণ প্রেয়সী নমো,নমো।
তুলসীর মালা গলাই ধারণ করলে ৪/টি জিনিস থেকে রহ্মা পাওয়া যাই,১/ব্রজর্পাত মৃত্যুর হাত থেকে রহ্মা পাওয়া যাই,২/রুড এক্সিডেন্ট থেকে রহ্মা পাওয়া যাই,৩/সর্প ছোবল থেকে রহ্মা পাওয়া যাই,,
যেমন সাপুড়িয়া যখন সাপের খেলা দেখাই তখন তাদের হাতে একটা লাঠির ডাল থাকে সে লাঠির মাথায় তুলসীর ডাল থাকে,,৪/রাতে বা দিনে ঘোমানির পর আমরা বাজে স্বপ্ন বা ভয়ানক স্বপ্ন দেখি যা দেখে ভয় পেয়ে আমার হাত পা প্যারালাইজ হতে পারে সেটা থেকে রহ্মা পাওয়া যাই,, আর অনেক উপকার পাওয়া যাই ইত্যাদি।যদি তুলসীর মালা গলাই দিয়ে তার মৃত্যু হয় সে যদি ভক্ত না থাকে তবুও তার নরকগামী হতে হবে না, যেমন কুকুরের গলাই যদি বেল থাকে তাকে কি কেউ মারতে পারে??না,, কারণ তার গলাই বেল আছে সে পালিত কুকুর মারলে তার নামে কেছ হয়ে যাবে পৌরসভা লোকও তাকে মারতে পারবে না।তাই যার গলাই তুলসীর মালা আছে তাকে যমে স্পর্শ করতে পারবে না, দূর থেকে দেখে প্রণাম করে বায়ুর বেগের মত চলে যাবে কারণ সে ভগবানের ভক্ত তার নাম ভগবানের খাতাই লিখা হয়েগেছে,,
আর যদি তুলসীর মালা ধারণ করে মায়াতে পরে কৃষ্ণ কে ভুলে যাই তবুও তাকে নরকগামী হতে হবে না,, তার সৎগতি হবে পরের জন্মে ভগবান তাকে ভক্ত ঘরে জন্ম দিবে ও সুযোগ করে দিবে।তুলসীর জল দিয়া গঙ্গা জল বানাই পবিত্র হওয়ার জন্য আর যদি তুলসীর মালা গলাই থাকে যদি প্রতিদিন স্নান করি সে মালার স্নানের জল শরীরে স্পর্শে করলে এমনি পবিত্র হয়ে যাব,,
অনেকে বলে তুলসীর মালা গলাই ধারণ করলে মিথ্যা কথা বলা যাবে না,,যদি তাই হয় তাহলে,ত শাস্ত্রে লিখা আছে মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ তুলসীর মালা না ধারণ করলেও মিথ্যা কথা মহাপাপ, ধারণ করলেও পাপ তাহলে কোনটা ভাল?? তাহলে তুলসীর মালা ধারণ করে মিথ্যা কথাই ভাল কারণ যেখানে আমি ১০০/মিথ্যা কথা বলতাম তুলসীর মহারাণী কৃপাই আসতে,
আসতে ১টা করে কমতে থাকবে একসময় আমি আর মিথ্যা বলব না, আর যদি মৃত্যু হয় তাহলে,ত নরকগামী,ত হতে হবে না, সৎ গতি হবে।আবার কেউ বলে তুলসীর মালা ধারণ করে মাছ,মাংস,আমিষ খেলে পাপ হয়,,হা ঠিক কিন্তুু ভাগবতে ভগবান বলেছেন যে আমার চেয়ে আমার নাম বড় নামের চেয়ে আমার ভক্ত বড় ভক্তের চেয়ে ভক্তের চরণ ধূলি বড়,ভগবান তার ভক্তকে সবসময় উপরে রেখেছে, সেই শুদ্ধ ভক্ত ভগবানের যিনি ভগবানের নাম ও প্রচার করে তার হাতে তুলসীর মালা গলাই ধারণ করলে আপনার পাপ সেই শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে ভগবান গ্রহণ করে এটা প্রচারের জন্য ভক্ত সবরকম পাপ বহণ করে জীবকে উদ্ধার করার জন্য, ভক্তি পথে আগে আসতে হলে তুলসীর মালা ধারন করতে হবে তাই ৮ বছর থেকে বাধ্যতা মূলক তুলসীর মালা ধারণ করতে হবে, আপনি যে সনাতন ধর্মের লোক মানুষ বোঝবে কি করে এটাই তার পরিচয় গলাই মালা থাকলে, তাই এক লাফে কেউ গাছে ওঠতে পারে না তাহলে সে পরে যাবে বা চিন্তা করতে করতে সময় চলে যাবে, তাই ভক্তি পথে কেউ একবারে সব ছেড়ে আসতে পারে না, আসতে, আসতে সে এই পারমার্থিক পথ অবলম্বন করে।
সব কথার মূল কথা হল যে ভগবানকে যত কিছু রান্না করে দেন না কেন ভগবান একটা তুলসীর পত্র ছাড়া কিছু নিবেদন করে না,
আর যার কন্ঠে তুলসীর মালা নাই তার হাতে ভগবান গ্রহণ করবে?? আবার অনেকে বলতে পারেন ভক্তি থাকলে ভগবান সব গ্রহণ করে,
হা কিন্তুু আপনি বলতেন পারেন আমার ভক্তি আছে যে সবসময় কৃষ্ণ নামে মগ্ন থাকি,? আপনি যে বৈদিক কর্ম করেন না কেন তুলসী লাগবে এবং কি মৃত্যুর পরে দেহের চোখের উপর এই তুলসীর পাতা দেই,,
কেন গাছে, ত অনেক পাতা আছে বট পাতা কাঠাল পাতা চোখ ভরে যাবে এমন পাতা আছে কিন্তুু সেটা দিবে না কেন?? এই তুলসীর পাতা লাগবে চিন্তা করে দেখুন যে ব্যক্তি কখনো গলাই তুলসীর মালা ধারণ করে নাই,
সাধুরা গিয়ে তাকে তুলসীর মালা পরার কথা বলে সে সাধুদের কে এমন জ্ঞান দেই যে সাধুদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে টিটকারি মারতে থাকে তাদের বয়স হয় নাই মালা পরার, তাহলে চিন্তা করুন যারা বলে এখন আমার বয়স হয় নাই হরি ভজন করার,
তারা কত বড় মহাপুরুষ তারা মৃত্যুকে জানে যে আমার এখন মৃত্যু হবে না। মূর্খ তারা হরিভজন করতে বয়স লাগে না, কিন্তুু মৃত্যুর সময় চোখে তুলসীর পাতা দিয়া কোন লাভ হবে আত্মা,ত চলে গেছে মরা দেহের মধ্যে দিয়ে কি লাভ বাইচা থাকতে সাধুরা বলেছে মালা ধারন করতে পরি নাই কারণ আমি বড় পণ্ডিত ছিলাম তাই কিন্তুু মৃত্যুর পর আমার পণ্ডিত গিরি শেষ তাই মৃত্যুর সময় কোন লাভ হবে না,যদি সারাজীবন হরিভজনে যুক্ত না হন।





প্রশ্নঃ ”সনাতন ধর্ম” প্রাচীনতম ধর্ম কি না ?




প্রশ্নঃ ”সনাতন ধর্ম” প্রাচীনতম ধর্ম কি না ?-www.krishnokotha.blogspot.com



উত্তরঃ বৈদিক শাস্ত্রসমূহ কোন সংকীর্ণমনা হিন্দু শাস্ত্র নয়, যা সাধারণত ভুলবশত ধারণা করা হয়। বৈদিক শাস্ত্রসমূহ স্মরণতীত কাল থেকে সমস্ত মানব জাতির জন্য লিখিত হয়েছে যেখানে “হিন্দু” শব্দটি এসেছে মাত্র কয়েক শতক পূর্বে ।।

🌷যখন মুসলিমগণ ভারতবর্ষ বিজয় করে, তখন থেকে তারা বৈদিক সংস্কৃতি অনুসরণকারীদের “সিন্দু” নামে ডাকা শুরু করে। কেননা তারা সিন্দু নদের তীরে বসবাস করতেন। যাই হোক, ‘সিন্ধু নামে প্রথম অক্ষর ‘স’ উচ্চারণ তাদের কাছে কষ্টকর হওয়ায়, তারা ভুলক্রমে এক ‘হিন্দু’ নামে পরিচিত এবং বৈদিক ধর্ম ‘হিন্দুত্বরাদ’ হিসেবে পরিচিত যদিও তারা নিজেরাই এই শব্দটি ব্যবহার করেন না।।

🌷তাই বৈদিক শাস্ত্রে ‘হিন্দু’ নামে কোন কিছুর উল্লখ নেই, এমনকি বৈদিক অভিধানে হিন্দু শব্দটি পাওয়া যায় না। বৈদিক শাস্ত্র শিক্ষার উপযুক্ত পদ্ধতি যা স্বয়ং শাস্ত্রগুলোতে লিপিবদ্ধ আছে, তা হল “সনাতন ধর্ম” শাশ্বত এবং সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ধর্ম যেটি কোন সময়, স্থান এবং অবস্থার প্রেক্ষিতে সীমিত নয় ।।

🌷সকল দিক থেকে সব রকমের আক্রমন হওয়া সত্ত্বেও সনাতন ধর্ম এখনো শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যদি পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ইতিহাস দেখি, তবে দেখব ইসলামের আবির্ভাব প্রয় ১৪০০ বছর পূর্বে। খ্রীষ্টীয় ধারা এসেছে প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে এবং বৌদ্ধত্ববাদ এসেছে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে ।।

🌷যুদও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতা বলেছিলেন ৫০০০ বছর পূর্বে কিন্তু তিনে স্বয়ং গীতাতে ব্যাখ্যা করেছিলেন, “আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। বিবস্বান তা মানবজাতির পিতা মনুকে বলেছিলেন এবং মনু তা ইক্ষাকুকে বলেছিলেন.. সেই সনাতন যোগ আজ আমি তোমাকে বললাম, কারণ তুমি আমার ভক্ত ও সখা এবং তাই তুমি এই বিজ্ঞানের অতি গূঢ় রহস্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে ।।”
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪/১-৩)

🌷সনাতন ধর্ম-প্রাচীনতম ধর্ম ও বিভিন্ন ধর্ম সমূহঃ- সনাতন ধর্ম-সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে- অর্জুনের নিকট ভগবদগীতা উপদেশ-৫০০০ বছর। বৌদ্ধ ধর্ম – ২৫০০ বছর। খ্রীষ্টান ধর্ম – ২০০০ বছর। ইসলাম ধর্ম – ১৪০০ বছর। আমরা যদি মনে করি, মনুর জন্মের আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিবস্বানকে ভগবদগীতার জ্ঞান দান করেছিলেন, তা হলেও গীতা বলা হয় কমপক্ষে ১২ কোটি ৪০ লক্ষ বছর পূর্বে
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"

প্রশ্ন:হিন্দু শব্দের অর্থ?



হিন্দু শব্দের অর্থ?-www.Krishnokotha.blogspot.com




উত্তর:মিত্রগণ অনেকেই আপনাদের কাছে "হিন্দু" শব্দের অর্থ কি তা জানতে চায় । আপনি সঠিক অর্থ জানেন না বলে বলতে পারেন না বা ভুল অর্থ জানেন ।

ভারতীয় মনিষীদের দ্বারা এটা প্রমানিত যে 'হিন্দু' শব্দটি চার হাজার বছরের পুরনো।

(Y) আনুমানিক ২য় শতাব্দিতে রচিত শব্দ 'কল্পদ্রুম', তাতে মন্ত্র আছে

হীন্ দুষ্যতি ইতি হিন্দু জাতি বিশেষ
অর্থাৎ হীন কাজকে যে ত্যাগ করে, তাকেই 'হিন্দু' বলা হয়।

(Y) অন্যদিকে 'অদ্ভুত কোষে' মন্ত্র পাওয়া যায়

হিদূঁ: হিন্দুশ্চ প্রসিদ্ধ দুশতানাম চ বিঘর্ষণে
অর্থাৎ হিদূঁ আর হিন্দু দুটো শব্দই তাদের জন্য ব্যবহার হয় যারা দুষ্টকে নাশ করে।

(Y) ষষ্ঠ শতাব্দির 'বুদ্ধ স্মৃতিতে' মন্ত্র আছে

হিংসা দূয়তে য়শ্চ সদাচরণ তৎপরঃ।
বেদ্ ........ হিদূঁ মুখ শব্দ ভাক্।'
অর্থাৎ যে সদাচারি বৈদিক ধর্মের পথে চলে, হিংসাকে দুঃখ বলে মনে করে, সে-ই হিন্দু।

(Y) বৃহস্পতি আগমে শ্লোকে আছে

হিমালয় সমারভ্য য়বাদ ইঁদূ সরোবঁ।
তঁ দেব নির্বিতঁ দেশম হিন্দুস্থানম প্রচ্ক্ষেত।
অর্থাৎ হিমালয় পর্বত থেকে হিন্দ মহাসাগর পর্যন্ত দেব পুরুষ দ্বারা নির্মিত ক্ষেত্রকে হিন্দুস্থান বলা হয়।

(Y) পার্সী সমাজের একটি অতন্ত প্রাচীন গ্রন্থে লেখা

অক্নুম বিরহমনে ব্যাস নাম আজ হিন্দ আমদ বস দানা কি কাল চুনা নস্ত ।
অর্থাৎ হিন্দ থেকে আসা ব্যাস নামক এক ব্রাহ্মনের সমকক্ষ বুদ্ধিমান কেউ ছিল না।

(Y) খ্রিস্টের জন্মের ১০০০বছরের আগে লবি বিন অখতাব তুর্ফা নামে আরবের এক কবির গ্রন্থে লেখা আছে

অয়া মুবার্কেল অরজ য়ু শোয়ে নোহা হিন্দে।
ব অরাদাকল্লাহ মন্য়োঁজ্জেল জিকর্তুঁ।।
অর্থাৎ হে হিন্দ পুণ্য ভুমি তুমি ধন্য, ঈশ্বর জ্ঞানের জন্য তোমায় বেছে নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: হিন্দু একতা শক্তি


🍀👆🍀হরে কৃষ্ণ


প্রশ্ন:ভগবান_বিষ্ণুর_গাত্র_বর্ণ_নীল_কেন?



ভগবান_বিষ্ণুর_গাত্র_বর্ণ_নীল_কেন?-www.krishnokotha.blogspot.com


উত্তর: হিন্দু পুরাণ অনুসারে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি স্থিতি ও বিলয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে যথাক্রমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের উপরে। একযোগে এঁদের ডাকা হয় ‘ত্রিমূর্তি’ নামে। ভগবান বিষ্ণু সৃষ্টির রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। পৃথিবীতে ন্যায় ও নীতি যাতে রক্ষিত হয়, সেই ব্যাপারে তিনি সর্বদা তৎপর। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিতে বিষ্ণুর যে চরিত্র বর্ণিত হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে স্বভাবের দিক থেকে তিনি উগ্র নন, বরং স্নেহশীল এবং ক্ষমাপরায়ণ। ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি ও ছবিতে তাঁকে সর্বদাই নীল গাত্রবর্ণবিশিষ্ট রূপে দেখা যায়। প্রশ্ন হল, তাঁর এই নীল গাত্রবর্ণের পৌরাণিক ও আধ্যাত্মিক কারণ কী?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে একাধিক ব্যাখ্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেগুলির মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত ব্যাখ্যাটিতে বলা হচ্ছে, ভগবান বিষ্ণুর নীল রং তাঁর অসীমতার প্রতীক। তিনি নীলবর্ণ আকাশের মতোই অপরিমেয় ও অসীম। তিনি অনন্ত শক্তির উৎস। তাঁর কোনও সুনির্দিষ্ট নাম কিংবা আকার নেই। তিনি অপ্রমেয়। অসীমতায় একমাত্র আকাশের সঙ্গেই তিনি তুলনীয়। সেই কারণেই যখন মূর্তরূপে তাঁকে কল্পনা করা হয়, তখন নীলগাত্রবর্ণবিশিষ্ট আকৃতিতেই তিনি কল্পিত হন। অধ্যাত্ম-বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বৈদিক যুগের বৃষ্টি ও বজ্রের দেবতার সঙ্গে কোনও ঐতিহাসিক যোগ রয়েছে বিষ্ণুর। সেই সংযোগও তাঁর নীল গাত্রবর্ণের একটি কারণ হতে পারে।
অন্য একটি ব্যাখ্যায় বিষ্ণুর নীল রং-কে তাঁর বাসস্থান বৈকুণ্ঠধামের প্রতীক বলে মনে করা হয়। ভাগবৎপুরাণে বর্ণিত একটি কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে জন্ম নেওয়ার পরে এক পলকের জন্য বৈকুণ্ঠধামের দর্শন পেয়েছিলেন ব্রহ্মা। তিনি দেখেছিলেন, বৈকুণ্ঠ উজ্জ্বল গাঢ় নীল বর্ণে রঞ্জিত, ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে বজ্রগর্ভ মেঘের রং। বৈকুণ্ঠনিবাসী বিষ্ণুকেও তাই নীলবর্ণ রূপেই কল্পনা করা হয় বলে মনে করেন অনেকে।
স্কন্দপুরাণে আবার বর্ণিত হয়েছে অন্যরকম একটি কাহিনি। সেখানে বলা হচ্ছে, ব্রহ্মার সৃষ্টিকে দগ্ধ করার পরে কালকূট নামের হলাহল গ্রাস করে বৈকুণ্ঠধামকেও। সেই বিষের তেজে সমগ্র বৈকুণ্ঠ নীল হয়ে যায়, আর প্রতিটি বৈকুণ্ঠবাসীর হৃদয়পদ্মাসনে অধিষ্ঠিত ভগবান শ্রীবিষ্ণু বিষের দহনে তমাল বর্ণ ধারণ করেন। তমাল হল গাঢ় নীল রং-এর গাব জাতীয় গাছ। কালকূটের প্রভাবে সেই গাছের রং ধারণ করে শ্রীবিষ্ণুর শরীর। ফলত মূর্তরূপে যখন তিনি কল্পিত হন, তখন এই কাহিনির সূত্রে ধরে তাঁকে নীলগাত্রবর্ণধারী হিসেবেই কল্পনা করা হয়ে থাকে।




প্রশ্ন: কতবার মালা জপ করলে কৃষ্ণ দর্শন মিলবে ?


প্রশ্ন: কতবার মালা জপ করলে কৃষ্ণ দর্শন মিলবে ?-www.krishnokotha.blogspot.com



উত্তর: একবার মুরারী গুপ্ত মহাপ্রভুকে জিজ্ঞেস 🌹করেছিলেন- হে প্রভু আপনি আমাকে বলুন, কতবার 👍কৃষ্ণ নাম জপ করলে শ্রীকৃষ্ণের দেখা পাওয়া যাবে ?
🌹মহাপ্রভু বলেছিলেন- যদি এমন কোনো সংখ্যা 👍থাকতো তবে সবাই তো সেই সংখ্যা অব্দি জপ করে 🌹প্রাণ গোবিন্দের দর্শন পেত। একবার আকুল হয়ে 👍ব্যাকুলভাবে ভক্তিভরে ডাকলেই প্রাণ গোবিন্দ 🌹আমার একবারেই দেখা দেয়। সারাদিন মালা জপে 👍কোনো লাভ নেই, যদি না সেই জপের মাঝে শ্রী 🌹কৃষ্ণের প্রতি আকুলতা, ব্যকুলতা, প্রেম, ভালোবাসা 👍ও ভক্তি না থাকে।
🌹হে আমার প্রাণোধন কৃষ্ণ, তুমি এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল 👍জীবের হৃদয়ে ভক্তির ভাব জাগিয়ে দাও।
🌹হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
👍হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।




🌹ভুলত্রুটি_মার্জনীয়।।


প্রশ্ন: রাস-লীলা, রাস-পূর্ণিমা, রাস-যাত্রা কি?



রাস-লীলা, রাস-পূর্ণিমা, রাস-যাত্রা কি?-www.krishnokotha.blogspot.com



উত্তরঃসর্ব্বেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিভূতি শ্রীমতি রাধারাণী সহিত গোপীকাগণ কে নিয়ে বৃন্দাবনের রাগমন্ডলে মহারাস লীলা করেণ ।
প্রশ্নঃ- রাস কী?
উত্তরঃ- ঈশ্বরের সাথে আত্মার মহামিলনই রাস।

প্রশ্নঃ- গোপী কে?
উত্তরঃ- আত্মা, যারা তাদের পূণ্যবলে ভগবানের সাথে মিলিত হয়েছে ।
প্রশ্নঃ- রাসে কী দৈহিক কাম বাসনা জাগ্রত হয়?
উত্তরঃ- কখনোই না কারণ দৈহিক কামনা বাসনার দেবতা কামদেব যখন রাস মন্ডলে এসে দৈহিক কাম ছড়াতে চেয়েছিল তখন ভগবান তাকে কদম গাছের সাথে বেধে রেখেছিল । কারণ, পরমাত্মার সাথে আত্মার মিলনে কোন কামনা বাসনা থাকে না, শুধু থাকে পবিত্র প্রেমভক্তি।
প্রশ্নঃ- রাসলীলার নামে পুরুষ-মহিলার নৃত্যকীর্ত্তনের যৌক্তিকতা কি?
উত্তরঃ- রাসলীলা কখনই অনুকরণীয় নয় । প্রজাপতি ব্রহ্মা, মহাদেব শিব, স্বর্গরাজ ইন্দ্র, সমস্ত দেব-দেবী, গন্ধর্ব, অপ্সরা-কারও পক্ষে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর হ্লাদিনী শক্তি শ্রীরাধারাণীর রাসলীলা অনুপ্রবেশ বা অনুকরনের যোগ্য নয় । তবে সে বিষয়ে মানুষের পক্ষে আর কি কথা? শ্রীব্রহ্মা ষাট হাজার বছর তপস্যা করেও ভগবদহ্লাদিনী শক্তি ব্রজগোপিকাগণের চরণের ধূলিকণা মাত্র লাভ করার আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করতে সক্ষম হননি ।
বৈকুন্ঠের লহ্মীদেবী শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলায় প্রবেশ করার সৌভাগ্য পর্যন্ত লাভ করতে পারেননি, তাই তিনি যমুনার অপর পারে কৃষ্ণপাদপদ্ম ধ্যানেই উপবিষ্ট হয়ে থাকলেন । মহাদেব শিব রাসলীলা দর্শনে গিয়েই বঞ্চিত হয়েছিলেন । অতএব যেখানে এইরকম অবস্থা ঘটে, সেই ক্ষেত্রে কি করে মল-মূত্র-কফ-পিত্ত বিশিষ্ট আধিব্যাধিযুক্ত, ধর্মনিষ্ঠাহীন, ব্রতহীন, কামুক লম্পট দুরাচারী, মদ্যমাংস প্রিয়, নেশাসেবী, জড়বুদ্ধিসর্বস্ব এঁচড়ে পাকাদের দল নিজেরাই রাধাকৃষ্ণ সেজে রাসলীলা করতে পারে? বা রাধাকৃষ্ণ তত্ত্ব সম্বন্ধে বাজে কথা বলতে পারে।
সুতরাং, যারা রাসলীলা সম্পর্কে অপপ্রচার করে তাদের উচিত শ্রীমদ্ভাগবত পড়া, আমাদের শাস্ত্র পড়লে তারা বুঝতে পারবে রাস শুধু নৃত্যগীত নয় । আধ্যাত্মিকতার এক বড় পরিনতি ।
জয় রাধারাণী, জয় গোপীগণ। জয় শ্রীরাধে কৃষ্ণ।

প্রশ্ন: হিন্দু শাস্ত্র মতে গুরুদেব কি এবং কেন?




হিন্দু শাস্ত্র মতে গুরুদেব কি এবং কেন?-www.krishnokotha.blogspot.com


উত্তর:যখন আমরা গুরুদেবকে সাধারন মানুষ বলে মনে করি তখন আমাদের গুরুচরণে অপরাধ হয়। হতে পারে গুরুদেব আমাদের মতই কথা বলেন, চলাফেরা করেন তবুও তিনি অসাধারন।

📑ভগবান বলেছেন, '' আমি জীবের অজ্ঞান ও অন্ধকার নাশ করার জন্য, শুদ্ধভক্তি প্রদানের জন্য, আমিই গুরুরুপে তার একনিষ্ঠ ভক্তগনের আশ্রয় করে আবির্ভূত হই''।
ভগবান আবার বলেছেন, ''মৎস্বরুপ'' অর্থাৎ, গুরুদেব হচ্ছেন আমার প্রকাশ বিগ্রহ এবং সেই গুরুস্বরুপের মধ্যে সমস্ত দেবতা অধিষ্ঠান আছে। গুরুদেব প্রদত্ত মন্ত্র জপ না করা এবং তার উপদেশ-নির্দেশ অনুসারে ভক্তিজীবন অনুশীলন না করাও গুরুদেবের চরণে অপরাধ। তাই আমাদের সর্ববিষয়ে গুরুদেবকে প্রথমেই শ্রদ্ধা করা উচিত।

📑 গুরুদেবের প্রতি আমাদের করণীয়:
👉 শিক্ষা ও দীক্ষা গুরুকে ভগবানের অন্তরঙ্গ সেবক হিসাবে মান্য করা।
👉 পাঠের পুর্বে এবং অর্চনের পুর্বে গুরুদেবের পূজা বা আজ্ঞা গ্রহন করা।'
👉 গুরুদেবকে সুন্দর আসন, পাদুকা, পোষাক নিবেদন করা।
👉 গুরুদেবকে দেখা মাত্র দন্ডবৎ প্রনাম করা।
👉 উচ্চস্বরে গুরুদেবের জয়ধ্বনি দেওয়া।
👉 গুরুদেবের উচ্ছিষ্ট মহাপ্রসাদ হিসেবে গ্রহন করা।
👉 গুরুদেবের আদেশকে ভগবানের আদেশ বলে তা পালন করা।
👉 গুরুদেবের বিছানায় শোয়া বা বসা উচিত নয়।
👉 গুরুদেবের আসন, পাদুকা, যানবাহন, স্নানের জল ও তার ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদিকে সম্মান করতে হয়।
👉 গুরুদেবের চিত্রপটকে যথাযোগ্য সম্মান করা প্রতিটি শিষ্যের কর্তব্য।
👉 গুরুভক্তি ব্যতিত যে কারোর সৎকর্মও বিফলতা হয়।
''সেই সে পরম গুরু, সেই পিতা মাতা,
কৃষ্ণের চরণে যিনি প্রেমভক্তি দাতা''
📑 শ্রীগুরু প্রণাম মন্ত্র:
ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।
❄️ অনুবাদ: অজ্ঞতার গভীর অন্ধকারে আমার জন্ম হয়ে ছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোক বর্তিকা দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করলেন। তাকেঁ জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি।
❄️❄️❄️❄️ ভুলত্রুটি_মার্জনীয় ❄️❄️❄️❄️

প্রশ্ন: হিন্দুরা কেন গো মাংস ভক্ষন করে না? আসুন যেনেনিন আমাদের বেদ কি বলে গো মাংস সংপক্ষে,,,,




হিন্দুরা কেন গো মাংস ভক্ষন করে না-www.krishnokotha.blogspot.com





উত্তর:হিন্দু শ্রাস্ত্র বেদ নির্ভর। বেদ হলো ইশ্বর বাক্য। যা অলঙ্ঘনীয়। বেদ ঈশ্বর প্রদত্ত আদেশ নির্দেশনা কি করে জীবন আচরণ করবো তা মুলত স্মৃতি দ্বারা বুঝা য়ায়।।


প্রথমে আসি বেদ কি বলে?
প্র নু বোচং চিকিতুষে জনয়া,মা গামনাগা মদিতিং বধিষ্ট।।(ঋগবেদ ৮/১০১ / ১৫।)
- ঈশ্বর বলছেন, আমি জ্ঞানবান কে বলছি যে তোমারা নিরপরাধ গো জাতিকে হত্যা করো না।।

এখন তথাকথিত বুদ্ধি জীবিরা বলবে এখানে হত্যা করতে নিষেদ করছে। খেতে তো নয়! আরে ভাই যাকে কাটা যাবে না তাকে খাবার তো প্রশ্ন আসে না। বেদের এই বাক্যর পূর্ন ব্যাখ্যা আছে স্মৃতি তে। যা আমাদের আদি পিতা মনু ও বাকী ১৮ জন বেদবিদ মহর্ষি গণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা।।
আসুন দেখি কি বলে স্মৃতি-

ব্রক্ষহত্যা সুরাপানং স্তেয়ং গুর্ববঙ্গনাগমঃ।
মহান্তি পাতকান্যাহুঃ সংসর্গশ্চাপি তৈঃ সহ।।

মনু। ব্রাম্মহত্যা (মানুষ ও গো হত্যা),মদ পান,চৌর্য, কন্যা,মাতৃ স্থানীয় নারী সংঙ্গম এই চারটি মহাপাতক। যারা এই কর্ম করে তাদের সাথে বাস করা শয়ন উপবেশন করলে সেও মহা পাপী।। তাই বলা যায় গো হত্যা নিষেধ।।
এবার আসি গোমাংসভোজী হলে কি করতে হয়?
গোমাংস ভক্ষনে প্রাজাপত্যং চরেদিতি।।
সমন্ত স্মৃতি।। অনিচ্ছা পূর্বক গো মাংস একবার ভক্ষনে প্রজাপত্য ব্রত করিবে।
গো অশ্ব বারহ কুন্জারোষ্টী চ সর্বং পন্চনখ তথা।।
ক্রব্যাদং কুক্কুটং গ্রাম্য কুর্যাৎ সংবৎসর ব্রতমিতি।।
শঙ্খ সংহিতা।। গরু, অশ্ব, শুকর, হাতি গ্রাম্য কুক্কুটাদি মাংস ভোজন করলে সম্বৎসর ব্রত করিবে।। সুতরাং এখানে স্পষ্ট বুঝা যায় কোন কোন মাংস আমাদের খাওয়া যাবে না।।

যেহেতু বেদ ও স্মৃতি দুই গো হত্যা ও খাওয়া নিষেদ তাই আমরা হিন্দুরা গো মাংস খাই না।। আর কেউ যদি গো ঘাতক হয় তার শাস্তি কি?
যদি নো গাং হংসি যদ্যশ্বং যদি পুরুষম।।
তং ত্বা সীসেন বিধ্যামো যথা নোহসো অবীরহা।।(অর্থববেদ ১/ ১৬/ ৪)
আর তুমি যদি আমাদের গরু অশ্ব ও প্রজাদিগকে হিংসা করো বা হত্যা করো তবে তোমাকে সীসা দ্বারা বিদ্ধ করিব। আমাদের সমাজের মধ্যে যেন বীরদের বিনাশকারী কেহই না থাকে।। এখানে বলা হচ্ছে যদি কেউ গো ও মানব হত্যা করে ইচ্ছা করে তাকে সীসা বিদ্ধ করতে।।
এবার আসি আমরা গো মাংস খাইনা তবে কেন গো চামড়ার জুতা পরি?
আসলে বেদ ও বৈদিক সমাজ বা সমগ্র আর্যার্বত বা সিন্ধু সভত্্যা গো চামড়ার জুতা পরা হতো না।। ঐ সময় হতে এখন পর্যন্ত হিন্দু সমাজের লোকজন খরম বা চটি পরতো।। কাঠের তৈরী জুতা কে খরম ও ভেড়ার বা মোষের চামড়ার তৈরী জুতা কে চটি বলে।। কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত এখন আধুনিকতা নামে প্রাচ্য সভ্যতার ক্রমবিকাশে এখন গো চামড়ার জুতা অনেক হিন্দু পরে।।। কারন এখন এটা না পরে যবন সভত্যার সাথে সখ্যতা থাকেনা।। তাই অনেকে তা পরে। তবে আজ আর্যার্তের ধর্ম গুরু গণ বা সন্নাসী গণ খরম ব্যাবহার করে।

চামড়ার জুতা নয়।


প্রশ্ন: যখন আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নামে কীর্তন করি তখন বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যেমন খোল , করতাল , বাঁশি , জয়ঢাক , হারমোনিয়াম ইত্যাদি বাঁজাই কেন ???



যখন আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নামে কীর্তন করি তখন বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র যেমন খোল , করতাল , বাঁশি , জয়ঢাক , হারমোনিয়াম ইত্যাদি বাঁজাই কেন ?-www.krishnokotha.blogspot.com





উত্তর:কলিযুগে মনুষ্যকূলের মুক্তির একটি মাত্র পথ শ্রীকৃষ্ণ নাম জপ করা । একাগ্রচিত্তে পৃথিবীর মায়া ভুলে জপতে হয় তাঁর নাম , আরাধনা করি কির্তনে । যখন সকলে মিলে কিংবা একা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে আরাধনা করি তখন আমাদের কানে বহিরাগত কিছু শব্দ ভেসে আসে । যা অনিচ্ছা সত্তেও আমাদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করে ।
'হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ , কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে । হরে রাম হরে রাম , রাম রাম হরে হরে ।।' একাগ্রচিত্তে গানের ছন্দে পাঠ করতে হয় । এই মধুর নাম জপে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তা বিষে পরিনত হয় । যখন এই মধুর নাম জপের তালে কোন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয় করা হয় তখন বহিরাগত কোন শব্দ আমাদের কানে ভেসে আসতে পারে না । ফলে এক মনে এক ধ্যানে আমাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় বিগ্ন ঘটে না । সেজন্যেই কীর্তনে কিংবা শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় খোল , করতাল , বাঁশি ইত্যাদি বাঁজানো হয় ।
বাদ্যযন্ত্রের অভাবে তাঁর নাম জপে অন্ততঃ হাতে তালি দিয়ে হলেও হরে কৃষ্ণ জপতে হয় ।।****হরে কৃষ্ণ****








প্রশ্ন: কতবার মালা জপ করলে কৃষ্ণ দর্শন মিলবে ?




কতবার মালা জপ করলে কৃষ্ণ দর্শন মিলবে ?-www.krishnokotha.blogspot.com





উত্তর: একবার মুরারী গুপ্ত মহাপ্রভুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন- হে প্রভু আপনি আমাকে বলুন, কতবার কৃষ্ণ নাম জপ করলে শ্রীকৃষ্ণের দেখা পাওয়া যাবে ?

মহাপ্রভু বলেছিলেন- যদি এমন কোনো সংখ্যা থাকতো তবে সবাই তো সেই সংখ্যা অব্দি জপ করে প্রাণ গোবিন্দের দর্শন পেত। একবার আকুল হয়ে ব্যাকুলভাবে ভক্তিভরে ডাকলেই প্রাণ গোবিন্দ আমার একবারেই দেখা দেয়। সারাদিন মালা জপে কোনো লাভ নেই, যদি না সেই জপের মাঝে শ্রী কৃষ্ণের প্রতি আকুলতা, ব্যকুলতা, প্রেম, ভালোবাসা ও ভক্তি না থাকে।

হে আমার প্রাণোধন কৃষ্ণ, তুমি এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল জীবের হৃদয়ে ভক্তির ভাব জাগিয়ে দাও।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।

#ভুলত্রুটি_মার্জনীয়।।

প্রশ্ন:জপ_করা_মানে_কি ?





জপ_করা_মানে_কি ?-www.krishnokotha.blogspot.com




উত্তর: কলিযুগে ভগবানকে লাভ করার একমাত্র উপায় হলো হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা।যেকেউ শুধু হরিনাম জপ করার মাধম্যেই পরমেশ্বর ভগবানকে লাভ করতে পারেন।তবে, সেই হরিনাম অবশ্যই অপরাধ শুন্য হয়ে জপ করতে হবে।
কলিযুগের মানুষ সবছে বেশি অধঃপতিত এবং সবছে বেশি পাপাচারে লিপ্ত। তাই পরমেশ্বর ভগবান এই কলিযুগের অধঃপতিত জীবদের মুক্তি হেতু মহামন্ত্র (হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র) নিজে এসে পাপী-তাপী সকলের মাঝে দান করলেন। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের সমান বা তার থেকে উৎকৃষ্ট কোন মন্ত্র এই কলিযুগে আর নেই। তাই আমাদের উচিৎ নিষ্ঠার সহিত হরিনাম জপ করা। জপের মধ্যে যজ্ঞ আছে, জপের মধ্যে তপস্যা আছে, জপের মধ্যে সকল কিছুই রয়েছে।




★জপ করা মানে, কৃষ্ণের কাছে মনের কথা খুলে বলা।
★জপ করা মানে, কৃষ্ণের কাছে সেবা প্রার্থনা করা।
★জপ করা মানে, কৃষ্ণ সাক্ষাৎ আপনার সম্মূখে উপস্থিত আছে এমনটি অনুভব করা।
★জপ করা মানে, কৃষ্ণ আপনার জিহ্বায় শব্দ রুপে নিত্য করছে এমনটি অনুভব করা।
★জপ করা মানে, জন্ম-মৃত্যু, জড়া-ব্যাধি ও ত্রিতাপ ক্লেশ থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়ার পন্থা অবলম্বন করা।
★জপ করা মানে, এই জড় ব্রহ্মাণ্ড ভেদ করে গোলক বৃন্দাবনে উন্নিত হওয়া।
তাই, আমাদের কখনও হরিনাম জপকে হেলার সহিত নেয়া উচিৎ নয়। হরিনাম সাধারন কোন মন্ত্র নয়। হরিনাম সাক্ষাৎ শ্রী কৃষ্ণের অভিন্ন রুপ। তাই, আমাদের খুব যত্নের সহিত হরিনাম জপ করা উচিৎ।
আসুন সবাই হরিনাম জপ করি এবং শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণ করি।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।



প্রশ্ন: বেদে কি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা আছে, বেদেতো ভগবানকে ব্রহ্মা বলা হয়েছে?


উত্তর: বেদ কথাটির অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। সৃষ্টির আদিতেপ্রজাপতি শ্রীব্রহ্মা সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হন শ্রীকৃষ্ণের কাছথেকে।


অথর্ব বেদে সেই কথা বলা হয়েছে_ যো ব্রহ্মাণংবিদধাতি পূর্বং যো বৈ বেদাংশ্চ গাপয়তি স্ম কৃষ্ণ:।অর্থাৎ ব্রহ্মা, যিনি পূর্বকালে জগতে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন, সেই জ্ঞান সৃষ্টির আদিতে যাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত হন তিনি হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ।


মহর্ষি ব্যাসদেব শ্রীমদ্ভগবদগীতার পুরুষোত্তম যোগঅধায়ে (১৫/১৫) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উক্তি বিবৃতকরেছেন_
বেদৈশ্চ সর্বৈ: অবহেম বেদ্যো
বেদান্তকৃদ বেদবিদেব চাহম।।
অর্থাত, আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য বিষয়, আমিসমস্ত বেদান্ত কর্তা ও বেদবেত্তা।


ঋক বেদে বলা হয়েছে-

ওঁ কৃষ্ণো বৈ সচ্চিদানন্দঘন: কৃষ্ণ আদিপুরুষ: কৃষ্ণ:পুরুষোত্তম: কৃষ্ণো হা উ কর্মাদিমূলং কৃষ্ণ স হ সর্বৈকার্য: কৃষ্ণ: কাশংকৃদাদীশমুখপ্রভুপূজ্য:কৃষ্ণোহনাদিস্তমিন্ন জাণ্ডন্তর্বাহ্যে যন্মঙ্গলং তল্লভতেকৃতী।।



প্রশ্ন্র: ধান দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে কেন?





দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে কেন- www.Krishnokotha.blogspot.com


উত্তর:-প্রাচীন আর্যসমাজে ধান ছিল ধনের প্রতীক। অন্যদিকে দূর্বা হচ্ছে দীর্ঘায়ুর প্রতীক। দূর্বা সহজে মরে না, প্রচণ্ড রোদ বা বর্ষায় পঁচে গেলেও আবার দূর্বা বেঁচে ওঠে। আর এই কারনে দূর্বার আরেক নাম অমর। ধান-দূর্বা মস্তকে দেয়া অর্থ সম্পদশালী হও ও দীর্ঘায়ু লাভ কর। কিন্তু যিনি আশীর্বাদ করবেন তিনি এই প্রতীকের মর্ম না বুঝলে এই আশীর্বাদ আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হয়।....হরে কৃষ্ণ


#ভুলত্রুটি_মার্জনীয়।।

প্রশ্ন : ভগবান কে?





ভগবান কে-httpskrishnokotha.blogspot.com


উত্তর: পরাশর মুনি ;ভগবান; শব্দটির সংজ্ঞা প্রদান করেছেন । ;ভগ; অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং;বান; অর্থ অধিকারী , যার আছে । ঠিক যেভাবে যার সুন্দর রূপ আছে -
আমরা তাকে বলি রূপবান, যার ধন আছে ধনবান , ঠিক তদ্রুপ যিনি ভগ অর্থাত্ ঐশ্বর্যের অধিকারী তাকে বলে ভগবান । পরাশর মুনি ভগবান শব্দের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন- ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ । জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নত্ ভগ ইতিঙ্গনা ॥
যার মধ্যে এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ভগবান - সমস্ত ঐশ্বর্য্য ,সমস্ত বীর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শ্রী ,সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য । এই জগতে কেউ বড় ধনী হতে পারে, কিন্তু কেউ
দাবী করতে পারেনা আমি সমস্ত ধনের মালিক । এই জগতে কেউ জ্ঞানী হতে পারে ,কিন্তু
সে দাবী করতে পারে না সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী । কিন্তু ভগবান সমস্ত ধন ,সমস্ত জ্ঞান ,সমস্ত সৌন্দর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শক্তির অধিকারী , তাই তাকে বলা হয় ভগবান । পরম ব্রহ্ম ভগবান
সর্ম্পকে বেদান্ত সূত্রের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে ;অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা ; সেই পরম ব্রহ্মটি কে ? তার উত্তরে দ্বিতীয় শ্লোকে বর্ননা করা হয়েছে ; জন্মদস্য যতঃ; এই
সুত্রটি শ্রীমদ্ভাগবতের ব্যাসদেব তার শ্লোকে সংযোজন করেছেন। জন্মদস্য যতোহন্বয়াদিতরত শ্চার্থেষ্বভিজ্ঞ স্বরাট্ ; জন্ম আদি অস্য যতঃ -
যা হতে এ দৃশ্যমান জগত অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড ,জন্ম আদি অর্থাত্ সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয় হয় তিনি হচ্ছেন পরম ব্রহ্ম ভগবান।
। অহং সর্বস্য প্রভবো মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে ।
ইতি মত্বা ভজন্তে মাং বুধা ভাবসমম্বিতাঃ ॥ ভগবদগীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্ননা করেছেন আমি সমস্ত কিছুর উৎস ও সবকিছু আমার কাছ থেকে উৎপত্তি হয়েছে । অর্থাত্
ভগবান হচ্ছেন সবকিছুর স্রষ্টা , সবকিছুর পালন করেন এবং তিনি সবকিছু সংহার করতে পারেন । এভাবে ভগবান সর্বশক্তিমত্ত্বা সর্ম্পকে শাস্ত্রে বর্ননা করা হয়েছে । ভগবানকে কেউ ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকেন । তাই ঈশ্বর শব্দটির
অর্থ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন । শাস্ত্র
বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে -নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাত্ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।এই জগতের প্রতিটি জীবের সীমিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে , তাই তারা নিজেকে ঈশ্বর বলে মনে করতে পারে বা দেবতাদেরকে ঈশ্বর বলে গ্রহন করা যেতে পারে । যেহেতু
তারা এই ব্রহ্মান্ডের কোনও না কোন কার্যের নিয়ন্ত্রন
করে থাকেন । কিন্তু ঈশ্বরকে যিনি নিয়ন্ত্রন করেন সেই পরমেশ্বরকে জানাই হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য । পরমব্রহ্ম বা পরম ঈশ্বরকে নিয়ন্ত্রন করে থাকেন , তিনিই ভগবান । ভগবান শব্দটি সমাজে যেমন
খুশি ব্যবহার হচ্ছে ,সেভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
বর্তমান সমাজ যেকোন যোগ- সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির প্রতি এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা শাস্ত্রবিরোধী




প্রশ্ন: কেউ মারা গেলে শ্রাদ্ধে আমিষ বাদ দিয়ে নিরামিষ কেন খাবেন?
একজন সনাতন ধর্মের লোক মারা গেলে বলতে হয়,"দিব্যান লোকান্ স্ব গচ্ছতু" অর্থাৎ তিনি দিব্যধাম প্রাপ্ত হোক।
দিব্য মানে দেবতার স্থান যেখানে দেবতারা ভগবানের আরাধনায় মগ্ন থাকেন । অপরদিকে, মাছ মাংস মদ ইত্যাদি রাক্ষসদের খাবার ।
আমরা দেখি অধিকাংশ হিন্দু পরিবারে মানুষ মারাগেলে মৃত দেহের আত্মার শান্তির লক্ষ্যে এবং ভগবান কিংবা দেবধামে যাওয়ার লক্ষ্যে আত্মীয় স্বজনকে শ্রাদ্ধে মাছ খাওয়ান তাহলে কি বুঝলেন?


শাস্ত্রের নিয়মে আমরা একদিকে দিব্যধামে যাওয়ার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, অন্যদিকে ভূত পেতনীর খাবার মানুষকে খাইয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যে তিনি দিব্যধামে প্রবেশ করুক । রাক্ষসদের খাবার যদি মানুষকে খাইয়ে শ্রাদ্ধে বিষ্ণুর নিয়ম অমান্য করে রাক্ষসদের উদ্দেশ্যে শাদ্ধ করি তাহলে মৃত ব্যক্তি কি স্বর্গে যাবে নাকি নরক লোকে যাবে সেটা নিশ্চয় সকলে বুঝতে পারছেন।
শ্রীমদ্ভাগবতে (৫/২৬/৫-৩৬) বর্ণনা আছে ২৮টি নরক কুণ্ডের কথা তারমধ্যে ৩ নাম্বার নরক রৌরব, ৫নাম্বার নরক কুম্ভীপাক, ৯নাম্বার নরক অন্ধকূপ, ১৬নাম্বার নরক প্রাণরোধ, ১৭ নাম্বার নরক বিশসন, ২৩ নাম্বার নরক রক্ষোভোজন, ২৪নাম্বার নরক শূলপ্রোত । সবগুলো নরককুন্ড পশু হত্যাও, খাওয়া কিংবা অন্যকে খাওয়ানোর অপরাধে তৈরি অর্থাৎ ভাগবতের ২৮টি নরককুন্ডের মধ্যে এই কুণ্ডগুলোতে পাঠানো হবে যারা পশুকে বিভিন্নভাবে হত্যা করে, নিজে আহার করে কিংবা অন্যকে আহার করায় ।
সুতরাং শ্রাদ্ধ মানে বিষ্ণুর_প্রীতির_উদ্দেশ্যে যা কিছু দান করা হবে তাই শ্রাদ্ধ আর,গীতা ও ভাগবতে যেহেতু নিরামিষ আহারের প্ররোক্ষ নির্দেশ দেওয়া আছে, তাই শ্রাদ্ধ হবে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিয়ম অনুসারে যেখানে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন-
"পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্ননঃ।।"( গীতা ৯/২৬)
অনুবাদঃ যে বিশুদ্ধ চিত্ত নিষ্কাম ভক্ত আমাকে ভক্তি সহকারে পত্র পুষ্প ফল ও জল অর্পণ করে, তার সেই ভক্তিপ্লুত উপহার আমি প্রীতিসহকারে গ্রহন করি।।



#ভুলত্রুটি_মার্জনীয়।।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------