যোগিনী একাদশী ব্রতকথা - Krishno Kotha

যোগিনী একাদশী ব্রতকথা - Krishno Kotha

যোগিনী একাদশী ব্রতকথা

যুধিষ্ঠির কহিলেন, ও-হে কেশব শ্যাম আষাঢ়ের কৃষ্ণে যেই একাদশী নাম। কি তার মাহাত্ম তাঁহা কহিবে এখন শ্রবণ করিতে মম পিপাসিত মন l শ্রীকৃষ্ণ কহেন সর্বপাপ বিনাশিনী এই একাদশী নাম ধরে যোগিনী lশ্রীকূবের অলোকা পুরীর অধিপতি নিত্য নিত্য করে পূজা শিব পশুপতি l হেম নামে যক্ষমালি নানা পুষ্প লয়ে পূজা হেতু নিত্য আসে সেই শিবালয়ে l একদিন না আনিয়া সেই পুষ্প ডালি পত্নীর প্রণয়ে গৃহে রহে হেম মালি l পত্নীসহ আছে হেম আনন্দে মগন সে কারণে না হইলো পুষ্প আহরণ l

পরক্ষনেই হেমমালী পাইয়া সম্ভিত কর্তব্যে অবহেলায় ভীত ও লজ্জিত lমম শাপে হবে তোর শেতকুষ্ঠ রোগ প্রিয়তমা পত্নীসনে হইবে বিয়োগ l শিব পূজা ভঙ্গে আমি বড় তাপ পাই এ অলোকা পুরী হতে ভষ্ট হবি তাই l এইরূপ হেমমালী শাপ প্রভাবেতে কুষ্ঠরোগ গ্রস্ত হয়ে আসিল ধরাতে l বহুদিন বন মাঝে বহু কষ্ট সহে অবশেষে হেমমালী চলে হিমালয়ে l দৈবক্রমে মার্কণ্ডেয় ঋষির দর্শন লভি দূর হতে তারে কহিল বন্দন l ভাগ্য ফলে দর্শন পেলাম আপনার এ দুঃখ হইতে মোরে করুন উদ্ধার l কৃষ্ণপক্ষে আষাঢ়ে যোগিনী একাদশী বিধিমতে তাঁহে যদি রহ উপবাসী l 

তাহা হলে এই পূর্ণ ব্রতের প্রভাবে এই মহা ব্যাধি হতে তুমি মুক্ত হবে l মুনি স্থানে ব্রত বিধি হইয়া বিদিত করিল 'যোগিনী'ব্রত হয়ে শ্রদ্ধান্দ্ধিত l সেই ব্রত প্রভাবে হয়ে ব্যাধি বিবর্জিত পত্নীর সহিত হেম হইল মিলিত l এই মহাপাতক নাশিনী,পূর্ণদাত্রী যোগিনী ব্রতের কথা পরে যেই ব্যক্তি l অথবা শ্রবণ করে হয়ে ভক্তি যুক্ত আজন্ম সঞ্চিত পাপ হয় বিদূরিত l 
(হরে কৃষ্ণ)
Next Post Previous Post