একমাত্র ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণেই মুক্তি দাতা - Krishno Kotha

একমাত্র ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণেই মুক্তি দাতা - Krishno Kotha


ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা ও বহিরঙ্গা এই উভয় শক্তিই দুৰ্গা, মহামায়া দুই নামে নানা শাস্ত্ৰে দেখা যায়। অন্তরঙ্গা শক্তির উপাসনায় কৃষ্ণভক্তি প্ৰাপ্তি এবং বহিরঙ্গা শক্তির উপাসনায় জড়জাগতিক বৈভব প্ৰাপ্তি হয়ে থাকে।

যিনি যা কামনা করবেন তারা সেই শক্তির উপাসনা করবে ।
ধন দাও, যশ দাও, পুত্ৰ দাও, সরকারী চাকুরী দাও, সুন্দরী স্ত্ৰী দাও, ডিগ্ৰী পাস, জমিজমা, রাজত্ব, মন্ত্ৰীত্ব ”

— এই রকম কিছু বাসনা নিয়ে দুৰ্গাপূজা করলে তিনি বহিরঙ্গা মহামায়া রুপে মনোেবাসনা পূৰ্ণ করেন।

কিন্তু মুক্তি দাও, বললে তখন সব শক্তি বলে এটা আমার হাতে নেই এটা গোবিন্দের। তার স্মরন নেও!

শ্রীকৃষ্ণপাদপদ্মের সেবায় উন্মুখ হলে যে শক্তি সহায়তা করেন সেই শক্তিই হন যোগমায়া।
আর কৃষ্ণ বহির্মুখ হলে যে শক্তি জড়জাগতিক ভোগ্যবস্তু দিয়ে কৃষ্ণ থেকে ভুলিয়ে রাখতে সহায়তা করেন সেই শক্তিই মহামায়া।

কাত্যায়নী দুৰ্গারই অন্য নাম। শ্ৰীবৃন্দাবনের গোপ বালিকাগণ যে কাত্যায়নী দেবীর আরাধনা করেছিলেন। সেইক্ষেত্ৰে তাদের আরাধনার একমাত্ৰ উদ্দেশ্য ছিল শ্ৰীকৃষ্ণকে পতিরুপে লাভ করা। অত্যন্ত সন্মানীয়া মহা প্ৰজ্ঞাবতী শ্ৰীবৃন্দাদেবীর নিৰ্দেশে গোপবালিকারা নন্দনন্দন শ্ৰীকৃষ্ণকে পতিরুপে লাভ করবার আশায় কাত্যায়নী পূজা করেছিলেন।

শ্ৰীকৃষ্ণ ভগবান স্বয়ং। তিনি সচ্চিদানন্দময় হচ্ছেন পরমেশ্বর পুরুষ। গোপকুমারীগণ কোনও জড় বস্তু বা বদ্ধ জীবকে পতিরুপে পাওয়ার জন্য কাত্যায়নী ব্ৰত করেননি। তাই সেই শক্তি কাত্যায়নী যোগমায়া।



কৃষ্ণ বিমুখ ব্যক্তিরা জড়জাগতিক সম্পদ উপভোগের উদ্দেশ্যে দুৰ্গাপূজা করে, সেই দুৰ্গা হচ্ছেন মহামায়া।

মহামায়ার দেওয়া সম্পদ পরিণামে দুঃখই দান করে। জড়জাগতিক ভোগবাসনার জন্য এই জড় জগৎ থেকে জীব কখনই স্বস্তি লাভ করতে পারে না। মৃত্যুময় ভবচক্র থেকে মুক্তি পেতে পারে না। তাকে জন্মমৃত্যুর চক্ৰে জন্ম - জন্মান্তর ধরে এই দুঃখময় জড় জগতে বদ্ধ হয়েই থাকতে হয়।

কেউ যদি কৃষ্ণভক্তি আকাঙক্ষী হন তবে কৃষ্ণের পাদপদ্মে শরণাগত হয়ে এই মহামায়ার দুঃখ ও উদ্বেগপূৰ্ণ জড় জগৎ থেকে নিস্কৃতি পেতে পারবেন। এই কথা পরমেশ্বর ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুনকে বলেছেন......

''দৈবী হ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দুরত্যয়া,
মামেব যে প্ৰপদ্যন্তে মায়ামেতাং তরন্তি তে'' ৷। গীতা ৭-১৪

অনুবাদঃ ''আমার এই দৈবী মায়া ত্ৰিগুণাত্মিকা এবং তাকে কেউই সহজে অতিক্ৰম করতে পারে না । কিন্তু যারা আমাতে প্ৰপত্তি করে তারাই এই মায়া উত্তীৰ্ণ হতে পারে''

-------------------------------------------------------------------------------------------------
=========================================================
এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................
ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।
আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা পড়ে যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।
তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে।
আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
=========================================================

কিন্তু জগতের অসুর প্রকৃতির মানুষেরা দুৰ্গা বা কালীকে পরম আরাধ্যা রুপে গ্ৰহণ করে এবং শ্ৰীকৃষ্ণকে ঐতিহাসিক পুরুষ রুপে কল্পনা করে । আবার অনেকে মনে করে কালীপূজা , দুৰ্গাপূজা আর কৃষ্ণপূজা একই কথা । এই ধরনের লোকেরা ''মায়াপহৃত জ্ঞানাঃ'' অর্থাৎ #মহামায়া তাদের জ্ঞান বুদ্ধি অপহরণ করেছেন । কারণ তারা কৃষ্ণের চরণে অপরাধী।


কিন্তু কেউ যদি কৃষ্ণপূজা করে, তবে তার প্রতি সমস্ত দেব - দেবী প্ৰসন্ন হন বলে শাস্ত্ৰে উল্লেখ রয়েছে। যেমন গাছের গোড়ায় জল দিলে ডাল-পাতায় জল দেওয়া বোকার কাজ।


কৃষ্ণভক্তিতে যে অচলা সব দেবদেবী তার বন্ধু।

প্রজাপতি ব্রহ্মা, মহাদেব শিব সর্বদা ভগবান শ্রীহরির ধ্যান করেন। জন্ম মৃত্যুর ভবচক্র থেকে মুক্তি একমাত্র ভগবান আদি পুরুষ গোবিন্দই দিতে পারেন, কোন দেবদেবী তা দিতে পারেন না৷।
।।হরেকৃষ্ণ।।।।হরেকৃষ্ণ।।।।হরেকৃষ্ণ।।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Byomkesh
    Byomkesh October 13, 2023 at 5:46 AM

    হরে কৃষ্ণ

Add Comment
comment url