হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র আমরা জপ ও কীর্তন করি সে সম্পর্কে - Krishno Kotha

হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র আমরা জপ ও কীর্তন করি সে সম্পর্কে - Krishno Kotha

গীতায় অনেক কিছু আলোচনা করা হয় নি,তাই ভগবদ্গীতা ১৬/২৪ শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের দৈনন্দিন কর্তব্য ও অকর্তব্য নির্ধারনে শাস্ত্রকে অনুসরন করতে বলেছেন।

শাস্ত্র বলতে বেদ, গীতা,পুরান,মহাভারত,রামায়ন,উপনিষদ ইত্যাদিকে বুঝায়।ভগবান কৃষ্ণ গীতা ১৬/২৪ শ্লোকে শাস্ত্রকে অনুসরন করতে বলেছেন,শুধু বেদ নয়।সে শ্লোকে বলা হয়েছে, শাস্ত্রই যর্থাথ প্রমান।

কলিযুগের মুক্তি উপায় হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন।এটিই বৈদিক শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত।


"হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। 
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।।

ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলির্কল্মষ নাশনং।নাতঃ পরতরোপায় সর্ব বেদেষু দৃশ্যতে।।"

অনুবাদঃ ষোলটি নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কলির সমস্ত পাপ বিনষ্ট করে।এর থেকে শ্রেষ্ঠ পথ বেদের আর কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না।আরো জানুন....


কলির্সন্তরন উপনিষদঃ-

"কলে দোষ নিধে রাজন অস্তি এক মহান গুন।
কীর্তনাৎ এব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ।।"

অনুবাদঃ কলি যুগ পাপের সমুদ্র।কিন্তু তার এক মহান গুন আছে।সেটি হচ্ছে,শ্রীকৃষ্ণের নামকীর্তন। যদি কেউ তা করে তাহলে অনায়াসে এই জড় জগৎ থেকে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের ধামে প্রবেশ করতে পারে।

প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হরে কৃষ্ণ.....

শ্রীমদ্ভাগবত পুরান ১২/৩/৫১

"হরের্নাম হর্রেনাম হরের্নামৈব কেবলম।
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা।।"

অনুবাদঃ এই কলিযুগে হরিনাম ব্যতীত অন্য কোন গতি নেই, গতি নেই, গতি নেই।

বৃহন্নারদীয় পুরান- ৩/৮/১২৬

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।


ইতি ষোড়শকং নাম্নাং কলির্কল্মষ নাশনং।
নাতঃ পরতরোপায় সর্ব বেদেষু দৃষ্টতে।।"


অনুবাদঃ ষোলটি নাম সমন্বিত হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কলির সমস্ত পাপ বিনষ্ট করে।এর থেকে শ্রেষ্ঠ পথ বেদের আর কোথাও দেখা যাবে না।

ব্রহ্মান্ড পুরান

"কৃতে যদধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যজতো মখৈঃ।
দ্বাপরে পরিচর্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীর্তানাৎ।। "

শব্দার্থঃ 
তদ্ধরিকীতর্নাৎ- তৎ ঠিক সেই ফল,হরি- হরি,
কীতনাৎ- কীর্তনের মাধ্যমে।

অনুবাদঃযুগধর্ম ও মুক্তির পথ হিসেবে সত্যযুগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান,ত্রেতাতে যজ্ঞ,দ্বাপরে অর্চন,এবং কলিযুগে হরিনাম সংকীর্তন নিধার্রিত হয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url