কৃষ্ণ ভাবনার দ্বারা কিভাবে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। একটু সময় নিয়ে অবশ্যই পড়ুন।

কৃষ্ণ ভাবনার দ্বারা কিভাবে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। 

কৃষ্ণ-ভাবনার-দ্বারা-কিভাবে-ভাগ্য-পরিবর্তন-করা-যায়


কৃষ্ণ ভাবনার দ্বারা কিভাবে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। একটু সময় নিয়ে অবশ্যই পড়ুন?


পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন..

'আমি তোমাকে তোমার পাপময় জীবনের ফল থেকে মুক্তি দিব।এটা ভাগ্য পরিবর্তন..যখন তুমি কৃষ্ণের কাছে আত্ম সমর্পণ করবে..তখন তিনি তোমার সব রকমের পাপকর্মের ফলা ফলের দায়িত্ব নিবেন। কৃষ্ণের কাছে আত্ম সমর্পণ কর।তা'হলেই তোমার ভাগ্য পরিবর্তন হবে।

"কৃষ্ণ কৃপা শ্রী মূর্তি শ্রীল অভয় চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ"


যে কোন কাজের শুরুতে সর্বদা ৩ বার মহামন্ত্র জপ করে তারপর কর্ম জীবন শুরু করা উচিৎ। চিন্ময় ধামের মহামুল্যবান সম্পদ এই "কৃষ্ণ" নামে সকল কার্যসিদ্ধি হয়। ভক্তিচারু গুরু মহারাজ প্রায়ই একটা কথা বলেন - "রক্ষিবে কৃষ্ণ বিশ্বাসে পালন"। অর্থাৎ প্রভু সর্বদাই আমাদের রক্ষা করবেন। এই গভীর বিশ্বাস টুকু সব সময়ই আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। আসুন তাহলে শুরু করি। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।


শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু আমাদেরকে ভগবানের নিরাকার রুপের উপাসনা করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন। কেননা ভগবান কখনোই নিরাকার নন। তিনি তার ধামে নিত্য বিরাজমান। শাস্রে ভগবানের সাকার রুপের বিষদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যে সকল মায়াবাদীরা ভগবানকে নিরাকার রুপে উপাসনা করে তাদের দু:খ কষ্ট ছাড়া আর কিছুই প্রাপ্তি হয় না। এমনকি মুক্তির পর তারা ভগবৎ ধামের পরিবর্তে ব্রম্ম জ্যোতিতে লীন হয়ে থাকে। তারা কখনোই ভগবানের সাকার রুপের দর্শন লাভ করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত সর্বদা ভগবানের নিত্য চিন্ময় সরুপ সাকার রুপের উপাসনা করা। এতেই আমাদের মঙ্গল। মুক্তির পর আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পার্শদ বা সেবক হিসেবে তার নিকটে থাকার সুযোগ লাভ করবো। জয় শ্রীকৃষ্ণ।।

প্রভুর ক্রিপা না হলে কার সাধ্য আছে প্রভুকে চেনা । এমনকি তিনি যদি আমাদের সামনে এসে বসেও থাকেন তবুও না, যেমনটি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন সয়ং ব্রম্মা ও রিসি সন্দিপনি। যদিও প্রভুর অশেষ ক্রিপায় পরবর্তীতে তারা প্রভুর আসল রুপ দর্শন করেছিলেন। যেখানে নারদমনিও হাজার হাজার বছর তপস্যা করেও প্রভুকে জানতে পারেনি। উদ্ধবকে প্রভু বলেছিলেন তাকে জানার একমাত্র পন্থা হচ্ছে পুর্ণ ভক্তি আর প্রেমময়ী ভালোবাসা। শ্রীগীতায় প্রভু বলেছেন - "মুর্খদের নিকট আমি কখনোই নিজেকে প্রকাশ করিনা। যে ভক্তগণ আমাকে নিরন্তর স্মরণ করেন আমি তাদের নিকট সুলভ হই এবং সর্বদা তাদের অন্তরে বাস করি। হে অর্জুন আমার ভক্ত কখনো বিনস্ট হয় না"।


এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা পড়ে যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।


আমার কৃষ্ণ কানাই ভক্তের কস্ট লাঘব করার জন্য ভক্তের সকল ভার নিজে বহন করেগো। এমন ক্রিপা সিন্ধু, দীন দয়াল প্রভু এই ত্রিভুবনে আর কোথায় পাবোগো ! শুধু নিজের মনটাকে একবার প্রভুকে দিয়েই দেখো, শুধু একবার চিন্ময় জগতের এই মহামুল্যবান মধু মাখা "কৃষ্ণ" নামে ডুব দিয়েই দেখো। ভক্ত যেমন প্রভুকে ভুলে থাকতে পারেনা, প্রভুও তেমনি তার ভক্তকে ছেড়ে এক মুহুর্তও থাকতে পারেন না। এই নামের মহিমা অসীম। মহাপ্রভু বলেছেন একমাত্র এই "কৃষ্ণ" নামেই সকল কার্যসিদ্ধি হবে। জয় শ্রীকৃষ্ণ! জয় শ্রীকৃষ্ণ!

জড় ভোগ বিলাসের জন্য যারা এতোটুকু পরিমাণও সময় ব্যয় করছো, কোটি কোটি ধন-সম্পদের বিনিময়েও এই মহা মুল্যবান সময় আর ফিরে পাবে না। - শ্রীলপ্রভুপাদ। দেবতারা এই কলিযুগে কৃষ্ণ ভজন করার উদ্দ্যেশে মনুষ্য জন্ম পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন। কেননা এই কলির পতিত পাবন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের মুক্তির এতো সহজ করে দিয়েছেন যে অন্য কোন যুগে এমন মহাসুযোগ আর ছিলোনা। তাই আসুন যে যেখানেই যেভাবেই থাকি মুখে অথবা মনে মনে সর্বদা কৃষ্ণ নাম জপ করি, প্রভুকে স্মরণ করি আর নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করি। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- "যে সকল ভক্তগণ নিরন্তর আমাকে স্মরণ করে, আমি তাদের নিকট সুলভ হই।

"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

Next Post