ভগবান কে? Krishno Kotha - কৃষ্ণ কথা
উত্তর: পরাশর মুনি ;ভগবান; শব্দটির সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। ;ভগ; অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং;বান; অর্থ অধিকারী , যার আছে।ঠিক যেভাবে যার সুন্দর রূপ আছে - আমরা তাকে বলি রূপবান, যার ধন আছে ধনবান , ঠিক তদ্রুপ যিনি ভগ অর্থাত্ ঐশ্বর্যের অধিকারী তাকে বলে ভগবান পরাশর মুনি ভগবান শব্দের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন-
ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য বীর্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ । জ্ঞানবৈরাগ্যয়োশ্চৈব ষন্নত্ ভগ ইতিঙ্গনা ॥ যার মধ্যে এই ছয়টি গুন পূর্ণমাত্রায় বর্তমান, তিনি হচ্ছেন ভগবান - সমস্ত ঐশ্বর্য্য ,সমস্ত বীর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শ্রী ,সমস্ত জ্ঞান এবং সমস্ত বৈরাগ্য । এই জগতে কেউ বড় ধনী হতে পারে, কিন্তু কেউ দাবী করতে পারেনা আমি সমস্ত ধনের মালিক ।
এই জগতে কেউ জ্ঞানী হতে পারে ,কিন্তু সে দাবী করতে পারে না সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী। কিন্তু ভগবান সমস্ত ধন ,সমস্ত জ্ঞান ,সমস্ত সৌন্দর্য্য ,সমস্ত যশ ,সমস্ত শক্তির অধিকারী , তাই তাকে বলা হয় ভগবান। পরম ব্রহ্ম ভগবান সর্ম্পকে বেদান্ত সূত্রের প্রথম শ্লোকে বলা হয়েছে ;অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা ; সেই পরম ব্রহ্মটি কে ? তার উত্তরে দ্বিতীয় শ্লোকে বর্ননা করা হয়েছে ; জন্মদস্য যতঃ; এই সুত্রটি শ্রীমদ্ভাগবতের ব্যাসদেব তার শ্লোকে সংযোজন করেছেন।
জন্মদস্য যতোহন্বয়াদিতরত শ্চার্থেষ্বভিজ্ঞ স্বরাট্ ; জন্ম আদি অস্য যতঃ -যা হতে এ দৃশ্যমান জগত অনন্তকোটি ব্রহ্মান্ড ,জন্ম আদি অর্থাত্ সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয় হয় তিনি হচ্ছেন পরম ব্রহ্ম ভগবান।। অহং সর্বস্য প্রভবো মত্তঃ সর্বং প্রবর্ততে । ইতি মত্বা ভজন্তে মাং বুধা ভাবসমম্বিতাঃ॥ ভগবদগীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বর্ননা করেছেন আমি সমস্ত কিছুর উৎস ও সবকিছু আমার কাছ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। অর্থাত্ ভগবান হচ্ছেন সবকিছুর স্রষ্টা , সবকিছুর পালন করেন এবং তিনি সবকিছু সংহার করতে পারেন।এভাবে ভগবান সর্বশক্তিমত্ত্বা সর্ম্পকে শাস্ত্রে বর্ননা করা হয়েছে। ভগবানকে কেউ ঈশ্বর বলে সম্বোধন করে থাকেন ।
তাই ঈশ্বর শব্দটির অর্থ আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন । শাস্ত্র বা শব্দকোষ অনুসারে ঈশ্বর শব্দের অর্থ হচ্ছে -নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণ কর্তা অর্থাত্ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ।এই জগতের প্রতিটি জীবের সীমিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে , তাই তারা নিজেকে ঈশ্বর বলে মনে করতে পারে বা দেবতাদেরকে ঈশ্বর বলে গ্রহন করা যেতে পারে । যেহেতু তারা এই ব্রহ্মান্ডের কোনও না কোন কার্যের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন । কিন্তু ঈশ্বরকে যিনি নিয়ন্ত্রন করেন সেই পরমেশ্বরকে জানাই হচ্ছে জীবনের লক্ষ্য । পরমব্রহ্ম বা পরম ঈশ্বরকে নিয়ন্ত্রন করে থাকেন , তিনিই ভগবান । ভগবান শব্দটি সমাজে যেমন খুশি ব্যবহার হচ্ছে ,সেভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় । বর্তমান সমাজ যেকোন যোগ- সিদ্ধি লাভ করা ব্যক্তির প্রতি এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় যা শাস্ত্রবিরোধী
এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................
ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।
আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা পড়ে যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।
তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।