দেবর্ষি নারদের অভিমান চূর্ণ । কৃষ্ণ কথা । Krishno Kotha

দেবর্ষি নারদের অভিমান চূর্ণঃ
দেবর্ষি নারদ ছিলেন ব্রহ্মার পুত্র, তিনি একজন অতি বড় তপস্বী ছিলেন, তিনি স্বীয় তপঃ প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে যত্র তত্র বিচরণ করতে পারতেন, চন্দ্রলোক, সূর্য্যলোক, শিবলোক, ব্রহ্মলোক, বিষ্ণুলোক, কোথাও তাঁর অগম্য স্থান ছিলনা।তিনি ছিলেন নারায়ণের একান্ত ভক্ত। তিনি প্রায়ই বৈকুন্ঠে এসে হরিগুণ গানে নারায়ণকে মুগ্ধ করতেন। এক সময় দেবর্ষি নারদের মনে একটু অহঙ্কার জন্মাল, আমি নারায়ণের বড় ভক্ত। সংসারী লোকগুলো ভগবানকে একেবারে ভুলে থাকে, কেহ কেহ আবার দিনান্তে একবারও নারায়ণকে ডাকে না। তাই দেবর্ষি নারদের এই অহঙ্কারটুকু নষ্ট করার জন্য ভগবান এক ছলনার আশ্রয় নিলেন।
দেবর্ষি নারদ ছিলেন ব্রহ্মার পুত্র, তিনি একজন অতি বড় তপস্বী ছিলেন, তিনি স্বীয় তপঃ প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে যত্র তত্র বিচরণ করতে পারতেন, চন্দ্রলোক, সূর্য্যলোক, শিবলোক, ব্রহ্মলোক, বিষ্ণুলোক, কোথাও তাঁর অগম্য স্থান ছিলনা।তিনি ছিলেন নারায়ণের একান্ত ভক্ত। তিনি প্রায়ই বৈকুন্ঠে এসে হরিগুণ গানে নারায়ণকে মুগ্ধ করতেন। এক সময় দেবর্ষি নারদের মনে একটু অহঙ্কার জন্মাল, আমি নারায়ণের বড় ভক্ত। সংসারী লোকগুলো ভগবানকে একেবারে ভুলে থাকে, কেহ কেহ আবার দিনান্তে একবারও নারায়ণকে ডাকে না। তাই দেবর্ষি নারদের এই অহঙ্কারটুকু নষ্ট করার জন্য ভগবান এক ছলনার আশ্রয় নিলেন।
ভগবান একদিন নারদকে বললেন, দেবর্ষি চল আমরা কোথাও বেড়িয়ে আসি। নারদ বলেন চলুন প্রভু! দুইজনে বের হলেন, কিছুদূর পথ চলার পর দুইজনে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম করতে বসলেন। এবার ভগবান বললেন দেবর্ষি আমি বড় পিপাসার্ত, আমার জন্য একটু জল আন তো, দেবর্ষি ভগবানের জন্য জলের খোঁজে বের হলেন, কিছুদূর গিয়ে দেবর্ষি, এক রমণীয় সরোবরের ঘাটে এসে পৌঁছলেন। সেখানে দেবর্ষি নারদ এক অতিব পরমা সুন্দরী রমণীকে দেখলেন। রমনী অপেক্ষা করছেন দেবর্ষি নারদের জন্য। দেবর্ষি নারদকে দেখেই রমণী বললেন আসুন আসুন দেবর্ষি আমি আপনার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছি।নারদ জানতে চাইলেন কেন? উত্তরে রমণী বললেন, আমি বহুদিন তপস্যা করেছি আপনাকে পতি রুপে পাবার জন্য। দেবাদিদেব শঙ্কর আমার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে, আমাকে বর দিয়েছেন, । আজ তিনি আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।
তা এই মায়াকন্যার স্পর্শে দেবর্ষি নারদের পূর্ব স্মৃতি লোপ পেল, এখন তিনিও, সুন্দরী রমণীর গলায় মালা পরিয়ে দিলেন।
দেবর্ষি ভাবলেন বিবাহ তো হল এবার থাকা যায় কোথায়? তখন দেবর্ষি ও তাঁর স্ত্রী দুজনে মিলে এক গ্রামের এক পাশে একটি কুঁড়ে ঘর তৈরি করলেন। তাতেই দুজনে মহাসুখে সংসার করতে লাগলেন। কিছুদিন পরে নারদের একটি পুত্র সন্তান হল, এবার নারদ কিছু জমি চাষবাস ও পশুপালন আরম্ভ করলেন । কিছুদিন পর নারদের আরও কন্য সন্তান হল। এখন নারদের সুখের সংসার, নারদ এখন চাষ বাস গরু বাছুর, স্ত্রী পুত্র মেতে রইলেন। দেবর্ষি নারদ সেই মায়াকন্যার স্পর্শে ভগবানের কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছেন, একবারও ভগবানের নাম করেন নাই।
ইভাবে বেশ কিছুদিন কেট গেল। একদিন হঠাৎ সেই গ্রামে কলেরা মহামারী রুপে দেখা দিল, গ্রামের বহুলোক কলেরায় মারা গেল, নারদ তাঁর স্ত্রীকে বললেন, এখানে থাকলে ছেলে-পুলে নিয়ে বাঁচা মুস্কিল হবে, তার চেয়ে চল আমরা এ গ্রাম ছেড়ে আন্যত্র চলে যাই। এই কথা চিন্তা করে নারদ ও তাঁর স্ত্রী ছেলে পুলে এবং কিছু জিনিসপত্র নিয়ে বের হলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর পথে একটি নদী পড়ল, দেবর্ষি নারদ, স্ত্রী, পুত্র ও জিনিসপত্র নিয়ে একটি নৌকায় উঠলেন।
এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা পড়ে যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
নৌকাটি নদীর মাঝামাঝি গিয়েছে, এমন সময় ভীষণ ঝড় উঠল, ঝড়ের দাপটে নৌকা টলমল করতে লাগল, দেবর্ষি নারদ ভাবলেন আর বুঝি রক্ষা হল না, নৌকা এবার ডোবে ডোবে, এমন সময় নারদের একটি পুত্র হঠাৎ জলে পড়ে গেল,
দেবর্ষি হায় হায় করে কেঁদে উঠলেন। ঝড়ের বেগ আরও বাড়ছে, ঝড়ের বেগে দেবর্ষির অন্য পুত্রটিও জলে পড়ে গেল।
নৌকা আর কোনমতে রক্ষা হল না। ঝড়ের দাপটে উল্টে গেল, দেবর্ষির স্ত্রী পুত্রদের ধরতে জলে ঝাঁপ দিলেন, তা দেখে দেবর্ষি স্ত্রীকে ধরতে জলে ঝাঁপ দিলেন। কিন্তু স্ত্রী তখন স্রোতের টানে তলিয়ে গেছে। দেবর্ষি তার নাগাল পেলেন না।
দেবর্ষি হায় হায় করে কেঁদে উঠলেন। ঝড়ের বেগ আরও বাড়ছে, ঝড়ের বেগে দেবর্ষির অন্য পুত্রটিও জলে পড়ে গেল।
নৌকা আর কোনমতে রক্ষা হল না। ঝড়ের দাপটে উল্টে গেল, দেবর্ষির স্ত্রী পুত্রদের ধরতে জলে ঝাঁপ দিলেন, তা দেখে দেবর্ষি স্ত্রীকে ধরতে জলে ঝাঁপ দিলেন। কিন্তু স্ত্রী তখন স্রোতের টানে তলিয়ে গেছে। দেবর্ষি তার নাগাল পেলেন না।
পরের দিন ভোরে যখন দেবর্ষির জ্ঞান হল, দেখলেন নদী তীরে এক গাছের তলায় শুয়ে আছেন।তখন দেবর্ষি ভাবতে লাগলেন, তাই তো এ আমি কোথায় আছি? আর কেনই বা এখানে এলাম? অনেক খন ভাবতে ভাবতে দেবর্ষির পূর্ব স্মৃতি ফিরে এলো। মনে পড়ল আমি তো ভগবানের সাথে বেড়াতে বেরিয়েছিলাম, এবং পিপাসার্ত ভগবানের জন্য জল আনতে গিয়েছিলাম। তারপর! কি হল কথায় গেল সেই স্ত্রী পুত্র সংসার। কোথায় গেল সেই মায়ানদী, তবে কি সবই ভগবানের মায়া?। এবার দেবর্ষি চললেন, বৈকুন্ঠে,ভগবানের চরণ বন্দনা করতে।
দেবর্ষিকে দেখেই ভগবান বললেন, এস, এস, দেবর্ষি।তা দেবর্ষি তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে? তোমায় তো বহুদিন দেখিনাই। দেবর্ষি ভগবানের চরণে পড়ে কেঁদে কেঁদে বললেন, প্রভু আমায় ক্ষমা করুন। আপনার মায়া আপনিই জানেন। আশীর্বাদ করুন, আর আপনার মায়ায় যেন কোনদিন আবদ্ধ না হই।ভগবান বললেন, দেখলে তো দেবর্ষি, সংসার করতে গেলে সংসারী লোকের কি অবস্থা হয়। তারা আমারই দেওয়া স্ত্রী পুত্র সংসার সব কিছু পেয়ে আমাকেই ভুলে যায়। হে সংসারী জীব, আমরাও সেই মায়া নদীতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। দিনান্তে একবারও ভগবানের কথা মনে হয় না। তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি হে ভগবান তোমার চরণে যেন সদা মতি থাকে, তুমি আমায় অন্যন্যা ভক্তি দাও,।।
"""""""""বৈষ্ণব দাসানুদাস """""
( শ্রীল জয় পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের কৃপা ধন্য -- অধম পতিত শ্রী করুনাপতি কৃষ্ণ দাস)
( শ্রীল জয় পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের কৃপা ধন্য -- অধম পতিত শ্রী করুনাপতি কৃষ্ণ দাস)