শ্রী কৃষ্ণ শুধুই ময়ূরের পালকই কেন তার মুকুটে ধারণ করেন?

শ্রী কৃষ্ণ শুধুই ময়ূরের পালকই কেন তার মুকুটে ধারণ করেন?

একদিন বনে কৃষ্ণ তাঁর রাখাল বন্ধুদের নিয়ে বিশ্রাম করছিলেন। তিনি বিশ্রাম থেকে উঠে ভাবলেন সবাইকে জাগাবেন, এবং তিনি তার বাঁশি বাজাতে শুরু করলেন যাতে কিছু দূরে অবস্থিত গাভীর দল ও জেগে ওঠে। যখন কৃষ্ণ তাঁর ঠোঁটের অমৃত বাঁশিতে ঢাললেন,গম্ভীর অথচ ধীর ছন্দ যুক্ত এক সুমধুর রাগ বাঁশি থেকে নির্গত হতে লাগলো। এই বিস্ময়কর তরঙ্গ গোবর্ধন পর্বতের আশেপাশের সমস্ত ময়ূর কে মোহিত করে তুললো। তাদের হৃদয় খুশীতে গাইতে আরম্ভ করলো এবং তাদের নিজস্ব সঙ্গীতে আকাশ বাতাস পরিপূর্ণ করে তুলল। বাঁশি হতে নির্গত এই অনুনাদিত শব্দ তরঙ্গ ময়ূরদের নৃত্য করতে উৎসাহিত করলো।


কৃষ্ণ, যিনি সমস্ত শিল্প-কলার উৎস, তাদের নৃত্যে খুশি হলেন এবং তাদের দিকে মৃদু হেসে উৎসাহিত করলেন। তারা আনন্দে চিৎকার করে উঠলো এবং তা সমস্ত পর্বতে প্ৰতিধ্বনিত হতে লাগলো। একসময় তাদের ধ্বনি প্রতিধ্বনি প্রভেদশূন্য হয়ে গেল। তারা উত্তেজনায় তাদের পাখা ঝাপটিয়ে লাফাতে লাগলো। যখন ময়ূরেরা নৃত্য করছিল, ময়ূরের রাজা শ্রী কৃষ্ণের চরণ কমলের নিকট এগিয়ে গেলো, তাঁর পবিত্র চরণ স্পর্শ করলো, এবং একটা শব্দ করলো, কৃষ্ণ বুঝলেন এটা ময়ূরের রাজার ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং অনুরোধ যাতে তিনিও তাদের সাথে নাচেন।


শ্রী কৃষ্ণ নৃত্যের এই আমন্ত্রণ স্বীকার করলেন এবং তাদের মাঝে গিয়ে দাঁড়ালেন, ময়ূরদের মতোই নৃত্য শুরু করলেন, ধীরে ধীরে লয় বাড়ালেন এবং ময়ূরেরাও তার পদ সঞ্চালনার সাথে তাল মেলাতে লাগলো। শ্রী কৃষ্ণ তাদের সাথে নৃত্য করায় তাদের পরম সুখ বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এত অভিভুতকারী ছিল এই অনুভূতি যে কয়েকটা ময়ূর মুর্ছিত হয়ে পড়লো। গোবর্ধন পর্বতের সমস্ত পশু এবং রাখালগন জাদুমুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, তারা যেন শ্রী কৃষ্ণের নৃত্যের দৃশ্যের থেকে চোখ সরাতে অসমর্থ হয়ে গেল। শ্রী কৃষ্ণের বাঁশী, তার প্রভুর ব্যতিক্রমী ক্রিয়াকান্ড দেখে নিজেই গাইতে শুরু করলো। গোবর্ধন পর্বতের চূড়া, স্বর্গ এমনকি পাতাল লোক থেকে দৃশ্যমান এই দৃশ্য ছিল চমৎকার। তারা অনেক্ষকন ধরে নৃত্য করলো এবং ধীরে ধীরে ক্লান্ত ময়ূরদল নৃত্য থামালো। এবার শ্রী কৃষ্ণ নিজের লয় ও ছন্দে নৃত্য শুরু করলেন। কয়েকদিন পর যখন তিনি থামলেন, চারদিকে এক মনোরম নিস্তব্ধতা বিরাজ মান হলো। ময়ূরের রাজা খুব বিনয়ের সাথে কৃষ্ণের কাছে গিয়ে, শ্রদ্ধায় মাথা নত করে বললো,


এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি। আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা পড়ে যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন। তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।


আপনি আমাদের এক আনন্দপূর্ন উৎসব উপহার দিয়েছেন যে জন্য আমরা আপনার নিকট চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবো,

আমাদের কর্তব্য আমরা আপনাকে 'গুরু দক্ষিনা' দিই। আমি অনুরোধ করছি আপনি আমাদের একমাত্র সম্পদ, আমাদের পালক গ্রহণ করুন, এটা আপনি আপনার মুকুটের সজ্জা হিসেবে পরিধান করুন।" পরোমানন্দের অশ্রু বিসর্জন করে রাজা অনেক গুলো স্বর্গীয় পালক ত্যাগ করলেন। শ্রী কৃষ্ণ আনন্দের সাথে এই নিবেদন গ্রহণ করলেন, পালক গুলো হাতে নিলেন এবং সবাইকে খুশি করে কয়েকটি পালক তাঁর পাগড়িতে লাগিয়ে নিলেন। এভাবেই তিনি পালক পরিধান আরম্ভ করলেন। জয় শ্রী কৃষ্ণ
Next Post Previous Post