কর্মযোগ | Krishno kotha

কর্মযোগ

সংসারে থেকে সম্পূর্ণরূপে কর্ম ত্যাগ করার কোন উপায় নেই। আমরা ইচ্ছা করি আর না করি,প্রকৃতি আমাদের দিয়ে কর্ম করাবেই। আমি চিন্তা করছি,বা ধ্যানজপ করছি,এগুলিও কর্ম। এই কর্মকে যোগে রূপান্তরিত করতে হলে কর্মের ফলের আকাঙ্খা করা চলবে না। গীতায়ও এটা বলা হয়েছে-জ্ঞানের চেয়ে ধ্যান বড়,ধ্যানের চেয়ে কর্মফল ত্যাগ করা বড়।
কিন্তু নিরাসক্ত হয়ে কর্ম করা এই কলিযুগে ভারী কঠিন। সহজেই আসক্তি চলে আসে। মনে হতে পারে যে অনাসক্ত হয়ে কাজ করছি,কিন্তু কোন দিক দিয়ে যে আসক্তি চলে আসে,বোঝাও যায় না।
হয়ত পূজা,জপতপ করছি,কিন্তু মনে সুপ্ত বাসনা রয়েছে পূণ্য অর্জনের।
অথবা গরীব দুঃখীদের সেবা করছি,কিন্তু সুপ্তভাবে লোকমান্য হবার ইচ্ছা হয়েছে,বুঝলেও না-এইরূপ। একেবারে অনাসক্ত হওয়া তার পক্ষেই সম্ভব,যার ঈশ্বর দর্শণ হয়েছে।
জীবনের উদ্দেশ্যই ঈশ্বরলাভ। আর তাকে দর্শণ করতে হলে,কর্ম অবশ্যই করতে হবে। কারন জীবাত্মা ও পরমাত্মার মাঝে মায়ারূপী যে পর্দা আছে,তাকে একমাত্র নিষ্কাম কর্ম দ্বারাই সরানো সম্ভব। আর এই পর্দা সরালেই ঈশ্বর দর্শণ।
এই জ্ঞান সকলেরই হতে পারে। পরমাত্মার কাছে প্রার্থনা করে সব জীবই তার সাথে যোগ হতে পারে। যেমন বিদ্যুতের লাইন সব বাড়ীতেই খাটানো আছে,বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছে গিয়ে আরজি করলেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেবে। দরখাস্ত করতে হবে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
=========================================================

এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................

ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।
আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা  পড়ে  যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।
তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। 

আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

-------------------------------------------------------------------------------------------------
=========================================================
তবে নিষ্কাম কর্ম ভগবৎ দর্শণের শুধু একটি উপায়,চূড়ান্ত উদ্দেশ্য নয়। নিষ্কাম কর্মের জন্যই সন্ন্যাসীরা তাদের নিজ বাসনা বশীভূত কর্ম ত্যাগ করে। কারন প্রতিটি কর্মের একটি ফল উৎপন্ন হবেই। আবার নতুন কর্মবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই তারা শুধু প্রয়োজনীয় নিত্য কর্মই করে চলে। যেমন-ভিক্ষা করা,পূজা,জপ,তীর্থযাত্রা ইত্যাদি।

এই কর্মযোগ বড় কঠিন। তাই প্রার্থনা করতে হবে-হে প্রভু,আমার কর্ম কমিয়ে দাও। আর যেটুকু কর্ম রেখেছ,কৃপা কর যেন অনাসক্ত হয়ে করতে পারি। তার প্রতি শুদ্ধা,ভক্তি,ভালবাসা যত বাড়বে,কর্ম ততই কমবে। এইভাবে যখন ভক্তি লাভ করবে-তখন বিষয়কর্ম আপনা-আপনি চলে যাবে। বিষয়যুক্ত কর্ম করতে আর ভালই লাগবে না। কিন্তু যতক্ষন ভোগের আশা,ততক্ষন কর্ম থাকবেই। আর কর্মের জন্যই চিন্তা,ভাবনা,অশান্তি। বাসনা ত্যাগ হলেই কর্ম ক্ষয় হবে এবং শান্তি পাবে। নিষ্কাম কর্ম করে দেখো,কোন অশান্তি থাকবে না।
Next Post Previous Post