সাধুসঙ্গে কৃষ্ণ নাম by Krishno Kotha

সাধুসঙ্গে কৃষ্ণ নাম by Krishno Kotha

অনেকেই জানেন, ঈশ্বরের আরাধনা অনেক ভাবে 
করা যায়। তন্মধ্যে জপ, কীর্ত্তন, ধ্যান, চিন্তন, পূজন ইত্যাদি। আজ আমরা আলোচনা 
করবো সাধুসঙ্গের মাধ্যমে কিরুপে 'কৃষ্ণ নাম' করা যায়।
প্রথমে দেখি সাধু কে।
সহজ কথায়, যে সৎ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত থেকে ভগবদ্ কথা শ্রবন, কীর্ত্তন, আলোচনা ইত্যাদি করে থাকেন, তিনিই সাধু। গুনীজনে বলে গিয়েছেন, "সৎসঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ!" এই সৎ মানুষদের সান্নিধ্যে থেকে ভগবদ্ কথা আলোচনা করাই হলো সাধুসঙ্গ। পরমেশ্বর ভগবান হলেন পরমাত্মা। আর সকল দেবদেবী ভগবানের অংশ প্রকাশ। সকল জীবের মধ্যে পরমেশ্বর ভগবান আছেন জীবাত্মা রুপে। তাই কেউই হেয় বা অবজ্ঞার নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে, নিজেকে তৃণ অপেক্ষা ক্ষুদ্র মনে করে, ভগবানের আরাধনা করতে।
আমরা নগন্য জীব। গর্ব অহংকারের আমাদের ইয়ত্তা নেই। এটাই যে আমাদের পতনের মুল হেতু, কয়জন তার হিসাব রাখে? শ্রী শ্রীমা সারদা বলেছেন যে, ব্রহ্মা প্রথম যখন মানুষ সৃষ্টি করেন, তখন শুধু সত্ত্বগুন দিয়ে ছিলেন মানুষের মধ্যে। এর ফলে, এক জন্মেই মানুষ সিদ্ধি লাভ করে মহামুক্তি লাভ করতো। ব্রহ্মা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এভাবে তো সৃষ্টি রক্ষা সম্ভব নয়। তাই এরপর মনুষের মধ্যে রজঃ ও তমোগুন যুক্ত করে দিলেন। আর তখন থেকেই শুরু হলো পাপপূণ্যের বিচারে পূনর্জন্মের। সৃষ্টি রক্ষাও হলো আর মানুষের কর্মফল বিচারের নিশ্চয়তাও মিললো।
এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................

ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।
আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা  পড়ে  যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।
তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। 

আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।

আসলে আমরা এতো তমসাচ্ছন্ন যে সব সময় আমরা নিজেদের বড় মনে করে অন্যকে ছোট ভাবার চেষ্টায় বিভোর। একবার চিন্তা করে দেখিনা, যাকে ছোট ভাবছি, তার মধ্যেও আছে পরমেশ্বরের অস্তিত্ব। তাছাড়া তার হৃদয়ে থাকতে পারে ভগবদ্ভক্তি ও ভগবদ্ ঞ্জান। যার আস্বাদে আমরা পরম তৃপ্ত হতে পারি। সাধুসঙ্গ কিভাবে করা যায় দেখা যাক। ভজন, কীর্ত্তন, আলোচনা ইত্যাদি সভা বা অনুষ্ঠান সাধুসঙ্গের প্রধান স্থান। এছাড়া সাধু ব্যক্তির সাক্ষাতে, তাঁকে নানা ভগবদ্ সম্পর্কীয় প্রশ্ন করে উত্তর খোজার চেষ্টাও সাধুসঙ্গের সমান। 
আমরা এখন ব্যস্ত জীবনের নাগরিক। সময় আমাদের এতো কম যে এই সাধুসঙ্গের সময় অনেকের হয়ে ওঠেনা। তারপরও চেষ্টা করা উচিৎ, অন্তত মাঝে মধ্যে এই সাধুসঙ্গ করা আমাদের ঈশ্বরের পথে এগিয়ে দিতে সহায়তা করবে। এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তাই সবাইকে আহ্বান করবো, আমরা আমাদের নৈমিত্তিক কর্মের মাঝে যেমন এই ফেসবুকে পোস্ট, লাইক, কমেন্ট ইত্যাদির সময় বের করি, তেমনি সাধুসঙ্গের জন্যও একটু সময় বের করার চেষ্টা করি। আর কিছু না হোক, ভক্তিভাবে সাধুবাক্য শ্রবণ করে যথাযথ হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে, আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার যে শুন্য থাকবে না, এটা নিশ্চিত। পরমকরুনাময়, সচ্চিদানন্দ ভগবানের চরণে সবার জন্য মঙ্গল প্রার্থনা।
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" 
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" 
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে" "হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"

Next Post Previous Post