জ্ঞান⇨প্রেম⇨ন্যায়⇨সর্মপন⇨ধৈর্য by Krishno Kotha

জ্ঞান⇨প্রেম⇨ন্যায়⇨সর্মপন⇨ধৈর্য by Krishno Kotha

প্রথমেই ধর্ম নির্বাহ করতে হবে! এবং তার নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে! ধর্ম নির্বাহ করার জন্য ধর্মের শক্তি বা আধার গুলো প্রাপ্ত করতে হবে.. ধর্মের আর্ধার গুলো হচ্ছে!!জ্ঞান⇨প্রেম⇨ন্যায়⇨সর্মপন⇨ধৈর্য

জ্ঞানঃ- জ্ঞান ধর্মের প্রথম ধাপ!! ধর্মকে ধারন কররে জন্য ধর্মীয় জ্ঞান প্রাপ্ত করতে হবে. পরমাত্নার সৃষ্টি ও সৃষ্ট
ভাল মন্দ উচিত অনুচিত বিচার করা!

প্রেমঃ-প্রেম হচ্ছে ধর্মের মহৎ গুন.. ঈশ্বরের সৃষ্ট সকল জীবের প্রতি ভালবাসা! স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, "জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর " জীব বলতে কেবল মানুষ নয় সকল প্রাণির প্রতি বুঝানো হয়েছে.. কিন্তু আমরা কি করি একটা কুকুর বা বিড়াল দেখলে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেই.! না এটা কি ঠিক করছেন!! ঈশ্বর মানুষকে সর্বাপেক্ষা অধিক ক্ষমতা দিয়েছে! যার ধরুণ, আমরা সংসারের সুখ ভোগ করে যাচ্ছি. নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করছি. পুজা প্রার্থনা করছি . কিন্তু এই প্রানিগুলো কিছুই পায় না. মানুষের ধারে পড়ে থাকে কেবল খাবারের জন্য. ঈশ্বর আমাদের ও কুকুর বিড়াল করে পাঠাতে পারত. কিন্তু কর্মফলের জন্য আমরা মানব জীবন পেয়েছি.. তাই এই জীবনকে ধর্মে আবদ্ধ করার জন্য জীবের প্রতি ভালবাসা থাকা আবশ্যক!

ন্যায়ঃ- ন্যায় পরায়নতা ধর্মের আর একটি মহৎ গুন যে সর্বদাই ন্যায়ের পথ অনুধাবন করে.. কোন পরিস্থিতিতে তেই নিজের সাথে আপোষ করে না. ন্যায় বিচারে দৃড় থাকে. এমনকি মৃত্যু সংকটেও পিছপা হয় না. সেই ব্যক্তিই পরমাত্বার প্রিয় হয়ে থাকে..

এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত ................. ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি। আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা  পড়ে  যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন। তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে।  আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
সর্মপনঃ- সমর্পণের মাধ্যতেই ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসা যায়. মানুষ যখন এটা উপলব্ধি করে যে "তার জীবন শুধুই ঈশ্বরের প্রতি সর্মপিত.এবং সে তুচ্ছ বা ক্ষুদ্র এক জীব মাত্র. যা কেবল মাত্র পরমাত্নার ইশারায় চলে! তার এই নশ্বর দেহ এবং আত্মা কেবলই পরমাত্নার অংশ বিশেষ. তখনই সে নিজেকে ঈশ্বর বা পরমাত্নার প্রতি সমর্পিত হয়..

ধর্য্যঃ- এই একটা গুন যাহা অত্যন্ত আবশ্যক.! এবং এই গুন র্দ্যুলভ, এই গুনটি ধর্মের মুল স্তম্ভ. যাহা জীবনের প্রতিটি ক্ষনে আবশ্যক.! আমাদের মন চঞ্চল. প্রতি ক্ষণেই বিচলিত হয়ে পড়ি.. ক্ষনিকের আবেগেই দিশা হারিয়ে ফেলি. যাহা আমাদের জীবনকে আরো বিষন্ন করে তুলছে যাহা আমরা টেরও পাই না. আমাদের সবসময় চিন্তা করতে হবে যে "ঈশ্বর আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে.আর এই পরীক্ষায় আমাকে যে কোন মুল্যেই উত্তীর্ণ হতে হবে. বিপদ আসবে কিন্তু কিছুতেই বিচলিত হওয়া চলবে না.. পুরাণে অনেক ধর্য্যের কাহীনি রয়েছে যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি.. হরিশচন্দ্র রাজার চরম ধর্য্য ও ত্যাগের মহিমার কথা আমরা জানি. রাজ্য রাজত্ব " স্ত্রী, পুত্র, কন্যা চলে যাওয়ার পর ও তিনি ধর্য্য হারাননি.. বরং ঈশ্বরের প্রিয় বিশ্বাস রেখেছেন .. অতঃপর তিনি তার ফল ও পেয়েছেন. তাই ধর্য্যকে আয়ত্ত করা অতি আবশ্যক!! আমার নিজের মধ্যে ও এই গুনটি বিদ্যমান নয়,তবে আমি চাই ঈশ্বর সকলকে এই গুনটি দিক 

গীতায় শ্রী কৃষ্ণ কি বলেছেন!!
ভয়শূন্যতা , শুচিতা, জ্ঞান, সরলতা, তপস্যা লোভশুন্যতা, লজ্জা, সত্য, দয়া, শান্তি, স্থিরতা, অহিংসা, শাস্থপাঠ, নম্রতা, ক্ষমা, ধর্য্য, তেজ, শুদ্ধি, অবিরোধ, অমানিতা এইসব দৈব ভাব. অভিমান, অজ্ঞানতা, নিষ্ঠুরতা, ক্রোধ, দর্ম র্দপ, লোভ, এই সব আসুর ভাব..
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের কারো মধ্যেই এই গুনাবলী বিদ্যমান নয়.. যার ফলে আমরা বার বার বিপতে ধাবিত হচ্ছি! তবে মোহ কামনা বাসনাকে দমন করে যদি ঈশ্বরের প্রতি সর্মপিত হই তাহলে এটা কঠিন কিছু নয়.. তবে হাঁ এই কলি যুগের রন্ধে রন্ধে গেঁথে আছে পাপ.. তাই আমাদের সবসময় চিন্তা করতে হবে.. এই পৃথিবীটা শুধুই ক্ষনিকের.!! যেখানে আমরা পরম ঈশ্বর শ্রী কৃষ্ণের দাশ.. আর কিছু না. প্রতিক্ষনে শুধুই হরে কৃষ্ণ!! আমাদের মধ্যে ঈশ্বর দৈব্য ভাব প্রদান করুক যে আত্বাকে অবিনাশী বলিয়া জানে " সে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করিতে বা হত্যা করাইতে পারে না. শ্রীমদ্ভগবদগীতা!!

"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"

"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে"
Next Post Previous Post