জীব মুক্তি সম্পর্কে - Krishno Kotha

জীব মুক্তি সম্পর্কে - Krishno Kotha

পুরাণের একটি কাহিনী শোনা যায়। এক গরীব চাষী ছিলেন।তিনি বহু পরিশ্রম সত্ত্বেও সবসময় হরিনাম করতেন। কিছু দূরে এক পাহাড়ের গুহাতে এক তপস্বী ভগবানের ধ্যানে বসে থাকতেন। একদিন নারদ মুনিকে দর্শন পেয়ে চাষী তাকে প্রণাম জানিয়ে বললেন, 

হে মুনিবর! আমি কবে এই দুঃখময় জন্ম- মৃত্যুর বন্ধন থেকে রক্ষা পাবো। তপস্বীও নারদ মুনিকে একই প্রশ্ন করলেন। নারদ মুনি চাষীকে ও তপস্বীকে এই কথা বললেন, “অপেক্ষা করো। আমি শ্রীভগবানের কাছ থেকে ফিরে এসে বলবো”। 

নারদ মুনি অদৃশ্য হলেন। কিছুদিন পরে তপস্বীর সামনে নারদ মুনি এসে পৌঁছলেন। তপস্বী তাঁকে বললেন, হে দেবর্ষি! আপনি ভগবান সম্পর্কে বলুন। আমার গতি পরিণতি কি? সেই সম্পর্কেও দয়া করে বলুন। নারদ মুনি বললেন, আমি গিয়ে দেখি, ভগবান একটি ছোট্ট সূঁচের (সুইয়ের) ছিদ্রের মধ্যে একটি বিশাল হাতীকে ঢুকাচ্ছেন আর বের করছেন। সেই কথা শুনে তপস্বী চিন্তা করলেন, এ একেবারে অসম্ভব কথা! কি করে ছোট সুঁচছিদ্রে বিশাল হাতীকে ঢোকানো সম্ভব হতে পারে? নারদ মুনি প্রশ্ন করলেন,

হে তপস্বী, যে কথা বললাম, সেটি তোমার কি পছন্দ নয় ? তপস্বী বললেন, না। হাতীর গায়ে সূঁচ ঢুকে আবার বেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সূঁচের ছিদ্রে হাতী ঢুকে যাচ্ছে আবার বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা অলীক কথা। নারদ মুনি আবার প্রশ্ন করলেন, তুমি এখন আর কি বলতে চাও? তপস্বী বললেন,এই দুঃখময় জগৎ থেকে আমার মুক্তি কবে হবে? নারদ বললেন, আরও দশ হাজার বছর তপস্যা করো, তারপর মুক্তি পাবে। 

সেই কথা শুনে তপস্বী বিক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, আরও দশ হাজার বছর। তবে না, না আমার মুক্তি চাই না। বহু বছর কষ্ট করেও আমি বিফল। অতএব, মুক্তির দরকার নেই।
তারপর সেখানেই নারদ মুনির কাছে চাষী এসে পৌঁছে প্রণতি নিবেদন করলো এবং যথারীতি কুশলাদি জিজ্ঞেস করে ভগবান সম্পর্কে জানতে চাইল।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
=========================================================
এই সাইটের সবস্ত কৃষ্ণ কথা সংগ্রহিত .................
ভুল ক্ষমা করবেন।শুধু মাত্র কৃষ্ণ ভক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা সংগ্রহ করে থাকি।
আমাদের কৃষ্ণ কথা সাইটে এসে কৃষ্ণ কথা  পড়ে  যদি কোনো রকম কিছু জানতে পারেন।
তাহলে আমাদের সপ্ন পূরণ হবে। আপনার অনুভূতি কমেন্টর মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
-প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
হরে কৃষ্ণ......
=========================================================
নারদ মুনি বললেন, হে চাষীভাই, আমি গিয়ে দেখি, ভগবান একটা ছোট্ট সূঁচের ছিদ্রের মধ্যে একটি বিশাল হাতীকে ঢোকাচ্ছেন আর বের করছেন। সেই কথা শুনে চাষী বললেন, ভগবানের আশ্চর্য লীলা! তিনি সবই করতে পারেন। 

নারদ মুনি তখন প্রশ্ন করলেন, তুমি আমার এই কথাটি বিশ্বাস করলে ?
চাষী বললেন, বিশ্বাস না করার কি থাকতে পারে?

একটি বিন্দু আকারের বটবীজের মধ্যে বৃহৎ বটবৃক্ষ থাকে, একটি ক্ষুদ্র আগুনের ফুলকিতেই বিশাল এলাকা ভষ্মীভূত হয়ে যায়।

তাহলে একটি সূঁচের ছিদ্রে একটি হাতীর প্রবেশ এমন কোন আশ্চর্য ব্যাপার নয়। 

নারদ মুনি চাষীকে আবার প্রশ্ন করলেন, তুমি এখন আর কি বলতে চাও? 

চাষী বললেন, আমার মুক্তি কবে হবে ? 

নারদ মুনি, কাছে এক তেঁতুল গাছকে দেখিয়ে বললেন, এই গাছে যতগুলি পাতা আছে তত সহস্র বছর পরে তোমার মুক্তি হবে। সরল চাষী সেই কথা শুনে আনন্দে অভিভূত হয়ে বলতে লাগলেন, ও হো তাহলে আমি একদিন উদ্ধার হবো! আমি তো মনে করেছিলাম চিরকালই এই দুঃখময় জড় জগত আমাকে পড়ে থাকতে হবে। শ্রীভগবান আমার প্রতি কত কৃপাময়।


প্রিয় কৃষ্ণ ভক্ত আমরা কৃষ্ণ কথা গুলো আমরা সংগ্রহিত করি শুধু মাত্র আপনাদের মাঝে কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি জাগানোর লক্ষে। যাতে করে সবাই নিজের ধর্মের কথা জানতে পারে ও কৃষ্ণ প্রেম ভক্তি হৃদয়ে জাগ্রত হয়। আমাদের যে কোনো রকম ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
হরে কৃষ্ণ......

তখন শ্রীনারদমুনি চাষীর হাত ধরে বললেন, তোমার এই মুহুর্তেই সমস্ত বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। এখনই শ্রীবৈকুন্ঠ জগতে চলো। আর তপস্বীকে নারদমুনি বললেন, তোমার জড় পেঁচালো বুদ্ধি ও বিশ্বাসহীনতার জন্য জড়জগৎ থেকে তোমার মুক্তির বহুবিলম্ব আছে।

তুমি আরও অধিক কষ্ট ভোগ করো। চাষী চলে গেলো বৈকুন্ঠধামে। তপস্বী পড়ে থাকলো কুন্ঠাময় জগতে। হিতোপদেশ: যারা ভগবানের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ জড় বুদ্ধিতে পরিমাপ করে, জড় জগতের বন্ধন থেকে তাদের মুক্তিলাভ সুদূর পরাহত। — হরে কৃষ্ণ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url