বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৫টি অমৃতবাণী
বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৫টি অমৃতবাণী
>>রণে-বনে, জলে-জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি। আমিই রক্ষা করবো।
>>আমার চরণ ধরিস না, আমার আচরণ ধর।
>>ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে, ভগবান তার মঙ্গল করেন।
>>ছোট শিশুকে দেখিছ না, কি সহজ সরল ভাব। মায়ের উপর কি স্বাভাবিক সমর্পণের ভাব। সেখানে ছলচাতুরী বা বিদ্যা বুদ্ধির অহংকার নেই। শুধু সহজ সরল আবদার তাতেই মা খুশী। তোকেও তেমনি সহজ সরল হয়ে তাঁর উপর নির্ভরশীল হতে হবে
>>যে কাজ তোমার মনে তাপের সৃষ্টি করে, তাকেই পাপ বলে জানিবে। কর্মের মধ্যে দিয়ে আত্ননচেতন শান্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তুলে, তাই পূণ্য এবং স্বর্গতুল্য।
>>ধার্মিক হতে চাইলে প্রতি রাতে শয়নকালে প্রতিদিনের কাজের হিসাব- নিকাশ করবি। অর্থাৎ ভাল কাজ কি করেছিস এবং খারাপ কাজ কি করেছিস, তার চিন্তা করে মন্দ কাজ আর না করতে হয়, তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।
>> মন যা বলে শোন, কিন্তুু আত্নবিচার ছেড়ো না। কারণ মনের মত প্রতারক আর কেউ নেই। মহাপুরুষদদের বাক্য, শাস্ত্র বাক্যে শ্রদ্ধ্যাবান না হলে প্রকৃত আত্নবিচার সম্ভব নয়।
>>সূর্য উঠলে যেমন আঁধার পালিয়ে যায়। গৃহস্থের ঘুম ভেঙে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার-বার বিচার করলে খারাপ কাজ করবার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাবে।
>>বাক্য বাণ, বন্ধুবিচ্ছেদ বাণ, বিত্তবিচ্ছেদ বাণ - এই তিনটি বাণ সহ্য করতে পারলে মৃত্যুকে জয় করা যায়।
>>আমার বিনাশ নেই, শ্রাদ্ধও নেই, আমি নিত্য পদার্থ। অর্থাৎ এই ‘আমি’ হলাম গীতায় বর্ণিত ‘পরমাত্মা’।
>>গীতা শুধুমাত্র একটি পাঠ্যপুস্তক নয়, যে তুই নিয়মিত পাঠ করবি, কণ্ঠস্থ করবি, সব সংস্কৃত শ্লোক। গীতা হবার সাধনা কর।
>>তাকে ভালবাসতে গেলে আগে ঘর থেকে শুরু কর। মা- বাবা, স্ত্রী, পুত্র, সবার মধ্যেই তিনি। সবাইকে যে আপন করতে পারে না, নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য যার প্রাণ কাঁদে না, সে আবার বিরাটকে ভালবাসবে কি করে।
>>তবে তোরা জাগতিক চাওয়া নিয়েই ভুলে থকিস না, সত্য লাভ করার জন্য চেষ্টা কর, আমার কৃপা তোদের সাধন পথকে সুগম করে তুলবে।
>>দেখ-অর্থ উপার্জন করা, তা রক্ষা করা, আর তা ব্যয় করবার সময় বিষয় দুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্যে চিন্তা করে কোন লাভই হয় না।
>>ক্রোধ ভাল কিন্তুু ক্রোধান্ধ হওয়া ভাল নয়।